চাঁদিফাটা রোদ। ভ্যাপসা গরম। নতুন সবুজ পাতায় সেজে উঠেছে আম গাছ। আকাশে-বাতাসে বাজছে বৈশাখীর আবাহন। আসছে বাংলার নতুন বছর। পয়লা বৈশাখ ঘিরে বাঙালির আবেগ চিরন্তন। পয়লা বৈশাখ মানেই মিষ্টিমুখ, এলাহি পেটপুজো। আবার পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন জামা। বঙ্গ জীবনে এ এক উৎসবই বটে।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি শুভ বলেই মনে করা হয়। তাই এদিন অনেক ব্যবসায়ীই হালখাতা হিসাবে পালন করে থাকেন। দোকানে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করা হয়। পাশাপাশি, হালখাতায় ক্রেতাদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। পয়লা বৈশাখে হালখাতা বাঙালির কাছে একটা ঐতিহ্যের মতো। কিন্তু হালখাতা মানে কী? কেনই বা হালখাতা উদযাপন করা হয়? জেনে নেওয়া যাক...
হালখাতা আদতে কী?
হাল মানে হল নতুন। অর্থাৎ, নতুন খাতা। বাংলার নতুন বছরে নতুন যে খাতায় ব্যবসার হিসাব রাখা হবে, সেই খাতাটি কোনও মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুজো করিয়ে আনা হয়। খাতার প্রথম পাতায় সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়। এমন প্রথাই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। হালখাতার দিন দোকানে গেলে ক্রেতাদের মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে বাংলা ক্যালেন্ডার।
কীভাবে এল হালখাতা?
শোনা যায়, মোঘল সম্রাট আকবরের আমল থেকে পয়লা বৈশাখের উদযাপন শুরু হয়েছিল। সেই সময় থেকেই দোকানে ব্যবসার হিসেব করার জন্য হালখাতার প্রথা শুরু হয়।
সেই থেকে আজও প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন দোকানে দোকানে হালখাতা উদযাপন করা হয়। এটা উৎসবের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। হালখাতা ঘিরে ক্রেতামহলেও উন্মাদনা থাকে।