
Premanand Maharaj: হিন্দু ধর্মে, তুলসী গাছকে অত্যন্ত শুভ এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বলা হয় যে এই গাছটি দেবী লক্ষ্মীর একটি রূপ, এবং প্রতিটি বাড়িতে ভক্তি সহকারে এটি রোপণ করা হয়। তবে, কখনও কখনও, অতিরিক্ত যত্ন এবং বীজের কারণে, তুলসী গাছটি অতিরিক্তভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন মনে আসে, তুলসী গাছটি যদি খুব বেশি ছড়িয়ে পড়ে তবে কী করা উচিত। একজন মহিলা মথুরার বৃন্দাবনের বিখ্যাত বাবা প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে এই প্রশ্ন নিয়ে যান। মহিলা ভক্ত মহারাজজিকে বলেন, 'তুলসী গাছটি বাড়ির উঠোনে খুব বেশি ছড়িয়ে পড়েছে, যা আশেপাশে মশা এবং সাপের ঘোরাফেরা করার ঝুঁকি বাড়ায়। তাহলে, এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত?'
প্রেমানন্দ মহারাজ এই প্রশ্নের সহজ উত্তর দিয়ে বলেন, ঘরে যাতে সাপ বা জঙ্গলের মতো গাছ না জন্মায়, তার জন্য আমাদের আলাদা পাত্রে তুলসী রাখা উচিত। যদি তুলসীর বীজ ছড়িয়ে পড়ে এবং উঠোনে অসংখ্য তুলসী গাছ গজায়, তাহলে সেই গাছগুলিকে উপড়ে ফেলে দেওয়া উচিত নয়। অন্য যে পরিবারে তারা এগুলো লাগাতে চায় তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে সেগুলো দেওয়া উচিত।
তুলসীর বীজ নিরাপদ স্থানে রাখুন
প্রেমানন্দ মহারাজ আরও ব্যাখ্যা করেন যে যদি তুলসীর বীজ নেওয়ার জন্য কেউ না থাকে, তাহলে সেগুলোকে নিরাপদ এবং পরিষ্কার জায়গায় রাখা উচিত। তবে, বাড়িতে একটি পাত্রে তুলসীর সঠিকভাবে পুজো করা উচিত এবং যত্ন নেওয়া উচিত। এটি বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখে এবং অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা প্রতিরোধ করে।
তুলসীর গুরুত্ব
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, যে বাড়িতে ভক্তি সহকারে এবং নির্ধারিত আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করে তুলসী গাছ লাগানো হয়, সেই বাড়িতে সুখ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তি আসে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে ভগবান বিষ্ণুর তুলসী অত্যন্ত প্রিয়। তুলসী পাতা ছাড়া ভগবান বিষ্ণুর কাছে নৈবেদ্য অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। তুলসী থাকা বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং মানসিক শান্তি আসে বলে জানা যায়। নিয়মিত তুলসী দর্শন এবং পুজো করলে মানসিক চাপ কমে এবং পরিবেশ শুদ্ধ হয়।