Advertisement

Premanand Maharaj: অন্যের টাকায় মদ খেলে কী হয়? প্রেমানন্দ মহারাজ জানালেন...

কারও দান করা টাকায় কি মদ্যপান করা পাপ? প্রেমানন্দ মহারাজকে এমন এক প্রশ্ন করেছিলেন এক ভক্ত। তিনি এ প্রশ্নের জবাবে দানের মাহাত্ম সম্পর্কে অবগত করেন।

প্রেমানন্দ মহারাজ প্রেমানন্দ মহারাজ
Aajtak Bangla
  • বৃন্দাবন,
  • 08 Dec 2025,
  • अपडेटेड 11:44 AM IST
  • কারও দান করা টাকায় কি মদ্যপান করা পাপ?
  • এক ভক্ত প্রশ্ন করেন প্রেমানন্দ মহারাজকে
  • কী জবাব দিলে বৃন্দাবনের এই বাবা?

হিন্দুধর্মে দানকে সর্বশ্রেষ্ঠ পুণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ছোটবেলা থেকেই সকলকে শেখানো হয়, অভাবীদের সাহায্য করলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ মেলে, জীবনে দুঃখ দূর হয়। তবে কখনও কখনও প্রশ্ন ওঠে একজন সাধু বা অভাবী ব্যক্তি কি আমাদের দানের অপব্যবহার করেন? একজন ভক্ত বৃন্দাবন মথুরার বাবা প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে এই প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি মহারাজকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'আমার কাছে এটা বিদ্রুপ নে হয়, যখন কোনও সাধু বা ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে ভিক্ষা করতে আসেন, তখন আমরা তাদের আটা, চাল, ডাল বা অন্য যা কিছু সম্ভব দিয়ে সাহায্য করি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি তারা সেই জিনিসগুলি বিক্রি করে মদ্যপান করে তবে কি তা ভুল বলে ধরা হবে?'

ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, 'হ্যাঁ, এটা ভুল। আর তুমিও এই পাপের ভাগীদার হবে। কিছু সাধু এই ধরনের পাপ করে কিন্তু কিথু ঋষি আছেন যারা ১৫ দিনের জন্য আটা এবং চাল চান। এমন অনেক সাধু খুঁজে পাবে যারা বিভিন্ন বাড়ি থেকে অল্প পরিমাণ আটা সংগ্রহ করে নৈবেদ্য প্রস্তুত করেন এবং সরল জীবনযাপন করেন। অতএব, যদি কেউ তোমার বাড়িতে আটা বা চাল চাইতে আসে তাহলে তাদের বলো, বসো, রুটি-ডাল খাও। অথবা তুমি চাইলে দু'টো রুটি নাও।'

দান না করা কি পাপ?
মহিলা ভক্ত প্রেমানন্দ মহারাজকে প্রশ্ন করেন, 'যদি দান না করি, তা কি সাধু অভিশাপ দেবেন?' প্রেমানন্দ মহারাজ এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'যদি তার অভিশাপ দেওয়ার ক্ষমতা থাকত তাহলে তিনি কেন ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়াতেন? তাছাড়া যারা অর্থ চান, তারা সম্পূর্ণ ভণ্ড। একজন প্রকৃত সাধক কখনও কারও ক্ষতি চান না। এমনকী তিনি যদি রাগ করেন, তাবে তার রাগ শুভ হয়ে ওঠে। ঠিক যেমন নারদ নলকুবর এবং মণিগ্রীবকে বৃক্ষ হওয়ার জন্য অভিশাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই অভিশাপের কারণেই তারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দর্শন লাভ করেছিলেন এবং মুক্তি লাভ করেছিলেন।'

Advertisement

অতএব, ঈশ্বরের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ একজন ভক্ত সর্বদা অন্যদের মঙ্গল কামনা করেন বলেই জানান প্রেমানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, 'একজন সাধু ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাওয়ান, ঠান্ডা লাগলে তাকে পোশাক দিন অথবা অসুস্থ হলে তাকে ওষুধ দিন। আপনি এই সমস্ত সেবাই দিতে পারেন।'

কাকে দান করা উচিত?
প্রেমানন্দ মহারাজের মতে, দান সর্বদা যোগ্যদের দেওয়া উচিত, অযোগ্যদের নয়। প্রকৃত সাধু তারাই যারা সত্যিকারের অর্থে ঈশ্বরের কাছে তাদের জীবন উৎসর্গ করে। এই সাধুরা ৫টি বাড়িতে যান এবং একটি বা ২টি রুটি চান। যা খাবারের জন্য যথেষ্ট। 

কিছু সাধু গ্রামে যান এবং অল্প পরিমাণ আটা সংগ্রহ করেন। যেমন দুই, আড়াই, তিন অথবা চার কেজি। তারপর নিজের খাবার তৈরি করে কয়েক দিনের জন্য লোকেদের বিতরণও করেন। এই ধরনের সাধুদের সহজেই চেনা যায় কারণ তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল ভিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন। একজন সত্যিকারের সাধু এমন হবেন যে আপনি যদি তাকে হত্যা করতেও উদ্যত হন, তবুও তিনি আপনার মঙ্গল কামনা করবেন। একজন সাধু খারাপ কখা বললেও তা উপকার হিসেবে ফলে যায়। এমনটাই মনে করছেন প্রেমানন্দ বাবা। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement