জীবনে আমরা কখনও কখনও এমন কিছু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই যা আমাদের নাড়া দিয়ে দেয়। যেমন চাকরি চলে যাওয়া, সড়ক দুর্ঘটনা অথবা বড় কোন দুর্যোগ। এই ঘটনাগুলিতে প্রায়শই মানুষ অকালে প্রাণ হারাতে পারেন। অন্যদিকে আবার এ ধরণের ঘটনাস্থলে থাকা কেউ কেউ অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। এর ফলে মনে অনেক প্রশ্ন জাগতে শুরু করে। এটা কি কেবল কাকতালীয় ঘটনা? এ ব্যাপারে মুখ খুললেন প্রেমানন্দ মহারাজ।
তাহলে কি যারা সেই দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা কি ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাননি বা আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত ছিলেন? প্রেমানন্দ মহারাজ একজন ভক্তের জন্য এই কঠিন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেছিলেন, যখনই এই ধরণের কিছু ঘটে, তখন তা ঈশ্বরের করুণা বা কোনও লক্ষণ নয়, বরং এটা আমাদের ভাগ্য।
ঈশ্বরের প্রেম পক্ষপাতদুষ্ট নয়
প্রেমানন্দ মহারাজ ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, যদি আমরা ধরে নিই যে কারও বেঁচে থাকা বা কেবল ঈশ্বরের বিশেষ কৃপায় হয়েছে, তাহলে এর অর্থ এটাও, যে দুর্ঘটনায় যারা মারা গিয়েছেন তারা ঈশ্বরের আশীর্বাদপ্রাপ্ত নন। এমনটা বিশ্বাস করা ঈশ্বরের প্রেমকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে চিহ্নিত করা হবে। সত্য হল ঈশ্বরের প্রেম সকলের জন্য সমান এবং নিরপেক্ষ।
জীবন ও মৃত্যু বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত
মহারাজের মতে, যে ব্যক্তি একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়, সে তার পূর্ববর্তী জীবনের কর্ম এবং তার অবশিষ্ট জীবনকালে রক্ষা পায়। তবে, যারা মারা যায়, তার অর্থ হল তাদের জীবনকাল শেষ হয়ে গিয়েছে। এটিকে কখনই ঈশ্বরের প্রতি বৃহত্তর বা কম প্রেম বলে মনে করার কোনও কারণ নেই। এমন্টাই মনে করেন প্রেমানন্দ মহারাজ।
ঈশ্বরের নাম জপ করাই সবচেয়ে বড় শক্তি
প্রেমানন্দ মহারাজ এই বলে শেষ করেন যে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করার পরিবর্তে, আমাদের ঈশ্বরের নাম জপের উপর মনোনিবেশ করা উচিত। কারণ জীবন বা মৃত্যুর পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একমাত্র ঈশ্বরই প্রকৃত সাহায্য করেন। পাশাপশি দেন শক্তিও।