বছরের নতুন ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা হাতে পেলেই বাঙালিরা যে দিনগুলিতে সবার আগে চোখ বোলায়, তার মধ্যে দুর্গা পুজো (Durga Puja) একটি। উৎসবপ্রেমী বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ এই দুর্গা পুজো। চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে উমা কৈলাশ থেকে মর্তে বাপের বাড়ি এসে দিন পাঁচেক থেকে ফিরে যান শ্বশুর বাড়ি। আর ঘরের মেয়েকে আদরে যত্নে ভরিয়ে, জাকজমকপূর্ণ ভাবে সেই উদযাপন করেন পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, এমনকি গোটা বিশ্বের বাঙালিরা।
দুর্গা পুজো একেবারে দোরগোড়ায়। তিলোত্তমার (Kolkata) বিভিন্ন প্রান্তর ইতিমধ্যে সেজে উঠেছে পুজোর আবহে। পুজোর বেশ কিছু মাস আগে থেকেই শুরু হয় যায় প্যান্ডেল তৈরি কাজ। গত কয়েক বছর ধরে থিম পুজোর (Theme Pujo) প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে বেশীরভাগ ক্লাবগুলি। সেরার সেরা লড়াইয়ে জোড়দার টেক্কা চলে ক্লাবে -ক্লাবে। মধ্য কলকাতার মহম্মদ আলী পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির (Mohammad Ali Park Durgotsav) এবছর ৫৪ বছরে পা দিল। কীভাবে সেজে উঠছে এবারের মণ্ডপ। এবছরের থিমই বা কী? আসুন খুঁটিনাটি জানা যাক...
আরও পড়ুন: এবার পুজোয় 'প্রত্যাবর্তন'-র কথা বলছে সল্টলেক এজি ব্লক! সঙ্গে রয়েছে আরও চমক
করোনা অতিমারীর দাপট কাটিয়ে ফের ছন্দে ফিরছে জীবন। কমিটির সদস্যরা এবছর তাই উদযাপনকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করতে, প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। ১৯৭৯ সালে এই মণ্ডপের দুর্গা পুজোর পথ চলার শুরু। মহম্মদ আলী পার্ক দুর্গোৎসবের চলতি বছরের থিম (Theme)- রাজস্থানের শীশ মহল (Rajasthan's Sheesh Mahal। এই মহল 'মিরর প্যালেস' (Mirror Palace) নামেও পরিচিত। মূল্যবান পাথর, কাঁচ এবং সুন্দর কারুকাজ করা ছবিগুলি যেন এর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: কবে পড়েছে এবছরের কালী পুজো? জানুন দিনক্ষণ, অমাবস্যার সময়
মহাম্মদ আলী পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র কুমার শর্মা জানালেন, "আমরা এবছর শীশ মহল থিম হিসেবে উপস্থাপিত করেছি। বহু মানুষ আমাদের অনুরোধ করেছিলেন তারা রাজস্থানে যেতে পারেননি, কিন্তু কলকাতায় বসে সেই স্থাপত্যের স্বাদ নিতে চান তারা। বিগত এক যুগের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অন্বেষণ করার এক প্রচেষ্টা এটি। আমরা আশাবাদী এই থিম দর্শনার্থীদের এক রাজকীয় অনুভূতি প্রদান করবে।"
আরও পড়ুন: 'পুজোয় শাড়ি ছাড়া কিছু পরব না!' ফ্যাশন, খাওয়া-দাওয়া থেকে নস্টালজিয়া! আড্ডায় ঋতুপর্ণা
পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অশোক ওঝা বললেন, "হাজার হাজার কাজের ঝিকিমিকি প্রতিফলন শীশ মহল মণ্ডপের চারপাশকে আলোকিত এবং প্রাণবন্ত করে তুলবে। প্রাসাদের ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করবে। রাজস্থানের রাজকীয় সৌন্দর্য এবং জাঁকজমকের প্রতিফলন হবে এই পুজো মণ্ডপে। ভিতরের বিভিন্ন চিত্রকর্ম এবং শিল্পকর্ম রয়েছে যা, আপনাকে বিস্মিত করবে। এই প্যান্ডেলের কারুকাজ সকলকে মুগ্ধ করবেই। মণ্ডপের গায়ে ম্যুরাল এবং স্বতন্ত্র আয়না ও কাঁচের কাজ করেছে এটিকে আরও স্বতন্ত্র করেছে।