ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা (Islam) অপেক্ষায় ছিলেন, কবে থেকে শুরু হবে রোজা। এবার মিলল সে উত্তর। দিল্লিতে আজ, বুধবার দেখা যায়নি রমজানের চাঁদ। ফলে আগামী কাল নয়, পরশু অর্থাৎ শুক্রবার থেকে শুরু হবে রোজা (Roza)। ইসলামী ক্যালান্ডারের (Islamic Calender) নবম মাস রমজান (Ramadan)। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে, রমজান মাস (Ramzan Month) কখনও ২৯ দিন তো কখনও ৩০ দিন হয়। এরপর চাঁদ দেখে পালন নয় খুশীর ঈদ।
বিশ্বব্যাপী ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা (Islam) এই রোজার মাসকে কোরবানি বা ত্যাগের মাস হিসাবে বিবেচনা করেন। ১২ মাস থাকলেও এই ক্যালেন্ডারে ৩৫৪ দিন রয়েছে। তাই প্রতি বছর রমজান মাস গ্রেগরীয়ন ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১১ দিন এগিয়ে আসে। চাঁদ দেখার উপরই রমজানের শুরু এবং শেষ নির্ভরশীল।
২০২৩ সালের রমজান কবে থেকে শুরু? (Ramzan 2023 Starting Date in India)
জামা মসজিদের মারকাজি রয়াত-এ-হিলাল কমিটি জানিয়ে দিল আজ দেখা যায়নি রমজানের চাঁদ। ফলে এই বছর ভারতে রমজান মাস শুরু হচ্ছে ২৪ মার্চ, শুক্রবার থেকে। এই রমজান মাস শেষ হতে পারে ২২ এপ্রিল।
অন্যান্য দেশে রমজান শুরু কবে? (Ramzan 2023 Starting Date in Other Countries)
বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে পরশু অর্থাৎ ২৪ তারিখ থেকে শুরু রোজা রাখা। এদিকে ২৩ তারিখ থেকেই ইন্দোনেশিয়া আর মালয়েশিয়ায় শুরু হচ্ছে রমজান। সৌদি আরবে বুধবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।
ইদ -উল -ফিতর ২০২৩ -এর তারিখ (Eid ul Fitr 2023 Date)
গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ঈদ-উল-ফিতর-র কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই। দশম মাসের আগে আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার পরেই ঈদ পালিত হয়। সুতরাং, রমজানের শেষ দিনে চাঁদ দেখার পরের দিন খুশীর ঈদ পালন হয়। শাওয়ালের চাঁদটি সৌদি আরবে প্রথম দেখা যায়। আর সে অনুযায়ী অন্যান্য দেশে ঈদ পালনের তারিখটি নিশ্চিত হয়। মনে করা হচ্ছে এই বছর, ঈদ-উল-ফিতর পড়বে ২২ অথবা ২৩ এপ্রিল।
রমজান শব্দের অর্থ (Ramzan Meaning)
'রমজান' একটি আরবি শব্দ। এই মাসেই রোজার পালন করা হয়। রোজাকে আরবি ভাষায় ''সাওম' অর্থ বিরত থাকা; এর বহুবচন হলো 'সিয়াম'। ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সাওমকে 'রোজা' বলা হয়। । যার অর্থ বিরত থাকা বা নিজেকে থামানো এবং নিয়ন্ত্রণ করা। একই সাথে উপবাসকে পারসি ভাষায় 'রোজা' বলা হয়। ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর পারসি প্রভাব বেশি হওয়ার কারণে রোজা শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
রোজা রাখার রীতি (Roza Keeping Rules)
ভোরবেলায় সূর্য ওঠার আগে নামাজের পর 'সেহরি' খেয়ে উপবাস শুরু করতে হয়। সারাদিন নির্জলা উপবাস রেখে সন্ধ্যাবেলার সূর্য ডুবলে আজানের পর ইফতারের মাধ্যমে উপবাস ভঙ্গ করতে হয়। এই এক মাস যতটা সম্ভব দান-ধ্যান করতে হয়। মিথ্যা কথা বা কোনও কুকথা বলতে নেই। রোজা চলাকালীন কোনও খারাপ কাজ করতে নেই। সেই সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়াও এই সময়ে বারণ।
কারা রোজা করেন না (Who Should Not Keep Roza)
ইসলামে বিশ্বাসী প্রত্যেক ব্যক্তিকে রোজা রাখতে বলা হয়। তবে শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের রোজা রাখার অনুমতি নেই। যারা সফরে আছেন, তারাও রোজায় ছাড় পান। পিরিয়ড চলাকালীন মহিলাদের রোজা রাখতে নেই। পরে একই সংখ্যক রোজা রাখতে হয় তাদের। অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখলে সেহরি ও ইফতারের সময় ওষুধ খেতে পারেন।