Advertisement

Ranna Pujo Rituals 2023: ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়ার রীতি, কেন হয় রান্নাপুজো? রইল নিয়মকানুন

Ranna Pujo Rituals 2023: হেঁশেলের একস্থানে পরিষ্কার করে ফণিমনসা কিংবা শালুক গাছের ডাল সাজিয়ে মনসার ঘট সাজিয়ে বিশেষ পুজো করা হয়।

রান্না পুজো বা অরন্ধন উৎসব (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 15 Sep 2023,
  • अपडेटेड 3:28 PM IST

বাঙালির নানা পার্বণের মধ্যে একটি ঐতিহ্যপূর্ণ পার্বণ হল রান্না পুজো বা অরন্ধন। ভাদ্র মাসে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া এই নিয়মই অরন্ধন উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য। মনসা পুজোর অবিচ্ছেদ্য অংশ এই অরন্ধন উৎসব। হেঁশেলের একস্থানে পরিষ্কার করে ফণিমনসা কিংবা শালুক গাছের ডাল সাজিয়ে মনসার ঘট সাজিয়ে বিশেষ পুজো করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন প্রায় সারা রাত জেগে চলে রান্নাবান্নার চরম ব্যস্ততা। 

রান্না পুজো বা অরন্ধন ২০২৩ কবে? 

বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে হয় রান্না পুজো। এবছর ১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার পড়েছে বিশ্বকর্মা পুজো। এজন্যে ১৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার পালন হবে রান্না পুজো।  

 

বছরে দু'বার হয় অরন্ধন উৎসব

বছরে দু'বার অরন্ধন উৎসব পালিত হয়। একটি, মাঘ মাসে সরস্বতী পুজোর পরের দিন শীতলষষ্ঠীতে শিলনোড়া পুজোর দিন। অন্যটি, ভাদ্র সংক্রান্তিতে মনসা পুজোর দিন। অনেকে আবার উনুন পুজো বা গৃহ দেবতার পুজো হিসেবে মনে করেন এই উৎসবকে। এই দু'দিন বাড়িতে উনুন জ্বালানোর নিয়ম নেই। তাই আগের দিন রান্না করে, সেই বাসি খাবার খাওয়ার রীতি রয়েছে অরন্ধনে। 

স্থানভেদে ভিন্ন রূপে দেবী মনসার পুজো

গোত্র ও অঞ্চলের তারতম্যে বিভিন্ন নিয়ম দেখা যায় এই উৎসবে। দেবী বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন রূপে পূজিত হন এদিন। কিছু স্থানে দেবী মনসাকে উৎসর্গ করা হয় মরসুমের সেরা শাক- সবজি, মাছ। অনেকে মনসার প্রতিমা বানিয়ে পুজো করেন। আবার অনেকে পঞ্চ সর্পের ফণাযুক্ত প্রতিমার পুজো করেন। কেউ কেউ ফণিমনসা গাছের ডাল রেখে পুজো করেন। 

 

কেন পালন হয় রান্নাপুজো? 

Advertisement

সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাত থাকে অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেই অন্ধকারে সারা রাত জেগে গৃহস্থ বাড়িতে অরন্ধন পার্বণ হয়। দেবীপক্ষের আগে রান্না পুজোই বাঙালিদের শেষ উৎসব। এরপর যা হবে, উৎসব তা সবই হবে মহালয়ার পরে, সুপর্বে। দেবী দুর্গার মর্তে আগমনের পর আবার উৎসবমুখী হয় বাঙালি, তাই দেবীর অপর নাম 'সুপর্বা'। 

রান্নাপুজোর রীতিনীতি 

রান্নাপুজোর পরের দিন অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোয় মূলত বাসি খাবার খাওয়ার রীতি। যার মধ্যে পান্তা উল্লেখযোগ্য। অনেক বাড়িতে আমিষ রান্না পুজো হয়, তো কোথাও আবার এই পার্বণ একেবারে নিরামিষ হয়। আমিষের মধ্যে ইলিশ -চিংড়ি মাছ অন্যতম। এছাড়াও আরও ভিন্ন ধরণের মাছ থাকে সেই তালিকায়। নিরামিষ পদের  মধ্যে উল্লেখযোগ্য রকমারি ভাজা, ছোলা -নারকেল দিয়ে কচু শাক সহ একাধিক শাক, পান্তা ভাট, মুগ ও খেসারির ডাল, চালতা- গুড় দিয়ে চাটনি, তালের বড়া, মালপোয়া ইত্যাদি। 

 

বর্তমানে উৎসবের এই মেজাজ ও রীতিনীতি অনেকটা শিথিল হয়েছে কর্ম ব্যস্ততার জন্য। তবে শহরে কম হলেও, গ্রামাঞ্চল বা শহরতলিতে এখনও এই পার্বণ ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়। তবে রান্নাপুজো মূলত পশ্চিমবাংলার লোকেরা আদী বাসিন্দারা অর্থাৎ এদেশীয়রা পালন করেন। এটি পূর্ববঙ্গীয়দের রীতি নয়। 


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement