কথায় আছে 'রথ টানলে দুর্গা আসে'। রথের দিন থেকেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু করে দেয় আপামর বাঙালি। তবে জানেন এই প্রচলিত কথার মাহাত্ম রয়েছে অন্য একটি কারণেও। রথের দিন থেকেই দুর্গা প্রতিমার কাঠামোয় প্রথম মাটি পড়া শুরু হয়। অর্থাৎ বলা চলে, রথযাত্রাতেই দুর্গাপুজোর ঢাকে প্রথম কাঠি পড়ে যায়।
কেন রথের দিনেই দুর্গা কাঠামোয় মাটি পড়ে?
দুর্গামূর্তি তৈরির কাজ শুরুর জন্য কাঠামোয় প্রথম মাটি পড়ে এই রথযাত্রার দিনেই। কী বিশেষত্ব রয়েছে এই দিনটির? কেন এটিকেই বেছে নেওয়া হয়? বাংলার প্রবীণ প্রতিমা শিল্পীদের মতে, রথযাত্রা একটি শুভ দিন। এই দিনে কোনও কাজ শুরু করলে, তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়। তাই এই দিনে দুর্গাপুজোর প্রথম কাজে হাত দেওয়া হয়। দুর্গামূর্তির কাঠামোতে দেওয়া হয় মাটি।
রথযাত্রার দিনে দুর্গামূর্তির কাঠামোতে মাটি দেওয়ার প্রথা বিশেষ ভাবে প্রচলিত রয়েছে প্রাচীণ পুজোগুলির ক্ষেত্রে। জমিদার বাড়ির পুজো বা ঐতিহ্যবাহি বনেদি বাড়ির পুজোগুলিতে এই নিয়ম এখনও মেনে চলা হয়।
শতাবর্ষ প্রাচীণ পুজোগুলিতে রথযাত্রার দিন নিয়ম করে কাঠামোতে পুজো করা হয়। তারপর শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ। দুর্গামূর্তির কাঠামোয় প্রথম মাটি দেওয়ার পাশাপাশি, এখন অনেকে এই দিন মণ্ডপের খুঁটিপুজো করেন। অর্থাৎ এই দিন থেকেই বাঙালি দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দেয় কোমর বেঁধে।
দুর্গাপুজোর জন্য একাধিক অর্ডার থাকে কুমোরটুলিতে। কাজে গতি আনতে রথযাত্রার দিন থেকেই এই কাঠামোয় মাটি দেওয়ার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ জগন্নাথ রথে চাপতেই দেবী দুর্গার আগমণের বার্তা বহন করে আনেন।
রথযাত্রা উৎসব পালন করার সঙ্গে সঙ্গেই বাঙালি চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে এবছরের দুর্গাপুজোর ক্যালেন্ডারে। কবে মহালয়া? কবে দেবীর বোধন?
২০২৫ সালের মহালয়া- ২১ সেপ্টেম্বর, রবিবার
মহাপঞ্চমী- ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার
মহাষষ্ঠী - ২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার
মহাসপ্তমী - ২৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার
মহাষ্টমী - ৩০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার
মহানবমী - ১ অক্টোবর, বুধবার
মহাদশমী - ২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার