রথযাত্রা আসলে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মাসির বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার উৎসব। স্নানের পর অসুস্থতার কারণে প্রভু জগন্নাথ পক্ষকাল চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকেন। এই সময়কাল অনসর কাল। এই সময়ে প্রভু শ্রী জগন্নাথদেব ভক্তগণের থেকে নিভৃতে থাকেন। পক্ষ কাল অনসর কালে রাজবৈদের চিকিৎসা এবং সেবা শুশ্রূষায় সুস্থ হয়ে উঠেই প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা নিজ নিজ রথে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে নিজের বাড়ি থেকে এক সপ্তাহের জন্য মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। বেড়াতে যাওয়ার ওই উৎসবই রথযাত্রা। রথযাত্রা হিন্দুধর্মের বিশেষত প্রভু শ্রী জগন্নাথ দেবের ভক্তদের কাছে একটি পূর্ণ উৎসব এবং পূর্ণ তিথিও।
এই পূর্ণ তিথিতে শ্রী জগন্নাথ ধাম পুরী ছাড়াও সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ সহ-সমগ্র ভারতবর্ষে এমনকি, ভারতের বাইরে পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে (যেখানে জগন্নাথদেবের ভক্ত বর্তমান) মহাসমারোহের সঙ্গে রথযাত্রা পালিত হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে রথের দড়ি টানলে বা স্পর্শ করলেও পূর্ণ লাভ হয়। শাস্ত্র মতে রথযাত্রা তিথি যে কোনও শুভ কাজ শুরু করার শুভ তিথি।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে–
তৃতীয়া তিথি আরম্ভ–
বাংলার– ৫ আষাঢ়, মঙ্গলবার।
ইং– ২০ জুন, মঙ্গলবার।
সময়– দিবা ১ টা ৯ মিনিট।
শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা।
তৃতীয়া তিথি শেষ–
বাংলার– ৬ আষাঢ়, বুধবার।
ইং– ২১ জুন, বুধবার।
সময়– দিবা ৩ টে ১০ মিনিট।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে–
তৃতীয়া তিথি আরম্ভ–
বাংলার– ৪ আষাঢ়, মঙ্গলবার।
ইং– ২০ জুন, মঙ্গলবার।
সময়– ঘ ১১ টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ড।
শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা।
তৃতীয়া তিথি শেষ–
বাংলার– ৫ আষাঢ়, বুধবার।
ইং– ২১ জুন, বুধবার।
সময়– ঘ ১ টা ৯ মিনিট ১০ সেকেন্ড।