সংসারের সুখ সমৃদ্ধি বজায় রাখতে, আমরা নানা রকম নিয়ম পালন করে চলি। তবে রবিবার সূর্যদেবতার দিন বলা হয়, তাই এই দিন তাঁর অনেক বেশি প্রকোপ থাকে। দিন হিসেবে একটু গরম প্রকৃতির রবিবার। অনেক বেশি পরিমাণ শক্তি সূর্য থেকে মেলে এদিন। প্রাণের সৃষ্টি, উৎস ও ধ্বংসের চাবিকাঠি রয়েছে এই গ্রহে সূর্য দেবতার হাতে বলেই মনে করা হয়।
হিন্দুধর্মের সৌর দেবতা বিভিন্ন দেবদেবীর মধ্যে হলেন প্রধান। কশ্যপ ও অদিতির পুত্র তিনি। আবার তিনি ইন্দ্রের পুত্র কোনো কোনো পুরাণ মতে। খালি চোখে সামনা সামনি কোন দেবতাকে দেখা না গেলেও কিন্তু সূর্যদেবকে আমরা আকাশের দিকে তাকালেই দেখাতে পাই। রবিবারটা রাখা থাকে সূর্য দেবতার জন্য সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে । বলা হয় রবিবারে সূর্য দেবতার পুজো করলে সাধকের বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
রবিবার, সূর্য তার বেশিরভাগ শক্তি বহন করে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ব্যক্তির কুণ্ডলীতে সূর্যের অবস্থান ঠিক না থাকলে তিনি সমাজে মান ও সম্মান পান না। সারাজীবন কষ্ট করতে হয়। তার জীবনে সুখ থাকে না। এই কারণেই রবিবারে কোনও বিশেষ কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ করে কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয়। এই কাজগুলো করলে সূর্য গ্রহের অশুভ প্রভাবের সম্মুখীন হতে হয়। তাই রবিবার কিছু জিনিসের যত্ন নিলে সূর্য দেবতার আশীর্বাদ সব সময়ই থাকতে পারে।
রবিবারে এই কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন
পুজো করতে যা মানতে হবে
কখনই সূর্য পুজো করা উচিত নয় স্নান না সেরে। সূর্য পূজা করা উচিত সর্বদা তামার পাত্রেই। কোনরূপ চিনি বা মিষ্টি জাতীয় জিনিস দেওয়া যাবে না পূজার অর্ঘ্যদানের জলে। এর পাশাপাশি এই পবিত্র জল যাতে এক ফোঁটাও পায়ে না পড়ে, সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। সূর্যদেব অর্ঘ্যদানের সময় মেঘের আড়ালে চলে গেলেও, অর্ঘ্যদানে বিরত হওয়া যাবে না।
আপনি যদি প্রতি রবিবারে এই সমস্ত কিছুর যত্ন নেন তবে আপনাকে কখনই সূর্য গ্রহের অশুভ দৃষ্টির মুখোমুখি হতে হবে না। সূর্য ঈশ্বর সর্বদা আপনার উপর তাঁর আশীর্বাদ বজায় রাখবেন।