সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে যে কোনও ব্যক্তির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখে তাঁর ভবিষ্যৎ ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বলি রাখি, সমুদ্র শাস্ত্র রচনা করেছিলেন সমুদ্র ঋষি। তাই একে সমুদ্রবিদ্যাও বলা হয়। অনেকে অঙ্গ শাস্ত্র নামেও অভিহিত করেন। হাতের রেখার মতো আঙুলের গঠনেও বোঝা যায় ব্যক্তির ভবিষ্যৎ। হাতের আঙুলের গঠনের সেই অর্থই জানব এই প্রতিবেদনে।
আঙুল সরু হলে কেমন স্বভাব
সমুদ্রশাস্ত্র মতে, যাঁদের আঙুল সরু তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন। এ ধরনের মানুষ সৃজনশীলও হন। কারও কাছে কোনও কিছু প্রত্যাশা করেন না তাঁরা। যে সম্পর্ক আগলে রাখার বিদ্যেও জানা তাঁদের। অন্যের সুখ-দুঃখের কথাও ভাবেন। মন খুব পরিষ্কার হয়। তারা তাদের মতামত উন্মুক্ত রাখে। স্পষ্ট কথার মানুষ হন। নিজের মত প্রকাশে দ্বিধা করেন না। অন্যদের খুশি করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।
আঙুল ছোট হলে কেমন স্বভাব
সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে,ছোট আঙুলের ব্যক্তিরা স্বার্থপর এবং অলস প্রকৃতির হন। কাজ ছাড়া কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। কাজ শেষ হলেই সম্পর্ক রাখেন না। এই সব মানুষ সৌখিন হন। তাঁদের শখও অনেক দামী। পার্থিব জিনিসে সুখ পেতে পছন্দ করেন। মজা করতেও ভালবাসেন। সম্পর্ক তৈরিতে তাঁরা এগিয়ে থাকেন।
আঙুলের গঠনে অর্থকষ্টের ছাপ
সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে,যাঁদের তর্জনী এবং মধ্যমা আঙুল জুড়লে মাঝখানে ছিদ্র দেখা দেয়, তাঁরা অর্থকষ্টে ভোগেন। ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থের অভাবে কষ্ট পান তাঁরা। অন্যদিকে, অনামিকা এবং কনিষ্ঠ আঙুলের মধ্যে যদি ছিদ্র থাকে, তাহলে জীবনের শেষ পর্যায়ে তাঁদের অর্থের অভাব দেখা দেয়। এ ছাড়া যাঁর কনিষ্ঠ আঙুল অতিরিক্ত খাটো ও বাঁকা, সে-ই ব্যক্তি অসৎ প্রকৃতির হন। এই ধরনের ব্যক্তি মুখে এক বলেন, কাজে করেন আর এক।
আরও পড়ুন- বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে ১২ রাশিতেই বড় বদল, কেমন কাটবে পুজো?