হস্তরেখা বিশেষজ্ঞরা হাতের রেখা পড়ে ভবিষ্যৎ বলতে পারেন। তবে অনেকেরই অজানা, একজন ব্যক্তির মুখের আকৃতি বা গঠন তার ভাগ্যের রহস্য প্রকাশ করতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্রে একে সামুদ্রিক শাস্ত্র (Samudrik Shastra) বলা হয়, যেখানে মুখের চেহারা দেখে ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ বলা হয়।
সমুদ্রবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন মানুষ যেভাবে চেয়ারে বসেন তাও তার প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য দেয়। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অফিসে কর্মরত সহকর্মীদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কেও ধারণা পেতে পারেন।
* চেয়ারে বসার সময়, কিছু লোক তাদের হাঁটু একসঙ্গে রাখে এবং পায়ের আঙ্গুলের মধ্যে অনেক ফাঁক রাখে। বলা হয়, এই ধরনের মানুষের দায়িত্ববোধ খুবই কম। তাদের ব্যক্তিত্ব আকর্ষণীয় এবং স্পষ্টভাষী।
* যারা তাদের পা উপরে থেকে সামান্য খোলা এবং গোড়ালি নীচে থেকে বন্ধ করে বসে থাকে তারা আরামদায়ক জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। এমন কিছু মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে অন্যের মন জয় করে। তাদের মন সব সময় অন্য জায়গায় থাকে। এধরনের মানুষ অকারণে মাথা ব্যথা পছন্দ করেন না।
* আপনি অবশ্যই অনেক লোককে ক্রস পায়ে বসে থাকতে দেখেছেন বা তাদের পায়ের উপরে পা রাখতে দেখেছেন। সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে, এই ধরনের লোকেরা খুব সৃজনশীল হয়। এদের স্বভাব একটু লাজুক ও নম্র। যদিও তাদের জীবন অনেক আনন্দময়। তারা এমন কাজ এড়িয়ে চলে, যার কারণে তাদের বিশ্বের সামনে লজ্জিত হতে হয়।
* যারা চেয়ারে বসার সময় তাদের পা হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত সোজা রাখে এবং তাদের কোমর সব সময় সোজা থাকে, তারা শৃঙ্খলা পছন্দ করে। এই লোকেরা খুব সময়নিষ্ঠ এবং আত্মদর্শন করে। তারা কোনও কাজ করার সময় তাদের শতভাগ দিতে পছন্দ করে। তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন লোকের সঙ্গ পছন্দ করে না এবং যারা অশালীন আচরণ করে তাদের সহ্য করে না। এধরনের মানুষের জীবনে অনেক উন্নতি হয়।
* অন্যদিকে, যারা পা একসঙ্গে রেখে, চেয়ার একটু বাঁকা রেখে কাজ করে, তাদের আচরণে কিছুটা জেদি বলে মনে করা হয়। তবে, তারা খুব উচ্চাভিলাষীও বটে। এধরনের লোকেরা একবার কোনও কাজে যুক্ত হলে তা শেষ করেই ছেড়ে দেয়। এই কারণেই তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)