Shani Jayanti 2022: শনিদেবকে ভয় পায় না এমন মানুষ নেই। তিনি শুধু নিষ্ঠুরই না, একবার কারও কোষ্ঠীতে ঢুকে পড়লে জীবন ছাড়খাড় হয়ে যায়। শনির প্রভাব বাড়লে অনিষ্ট হতে থাকে। দুর্ঘটনা এবং নানাবিধ ঝামেলার আগমন ঘটে। অকারণে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন মানুষ। শনি এতটা নিষ্ঠুর হলেন কীভাবে?এর পিছনে রয়েছ একটি পৌরাণিক কাহিনি। এমন একটি অভিশাপ রয়েছে যা আজ পর্যন্ত শনিকে রেহাই দেয়নি!
জ্যোতিষীরা বিশ্বাস করেন যে যে ব্যক্তি বা রাশিচক্রের উপর শনির নজর পড়ে তাঁদের জীবনের সুখ এবং সমৃদ্ধি উধাও হয়ে যায়। ধ্বংস নেমে আসে। চাকরি, পেশা, ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। শতচেষ্টার পরও ঘরে সুখ আসে না।
কী বলছে ব্রহ্মপুরাণ?
ব্রহ্মপুরাণ অনুযায়ী, সূর্য ও ছায়ার পুত্র শনিদেব। শৈশবকাল থেকেই শনিদেব শ্রীকৃষ্ণের পরম ভক্ত ছিলেন। তাঁর বেশিরভাগ সময় কাটত কৃষ্ণের উপাসনায়। চিত্ররথের কন্যার সঙ্গে শনির বিয়ে দেন তাঁর বাবা। শনিদেবের স্ত্রী ছিলেন সতী-সাধ্বী ও তেজস্বিনী।
শনিদেবের স্ত্রীর অভিশাপ
একবার সন্তান লাভের ইচ্ছা নিয়ে স্বামীর কাছে পৌঁছন শনিদেবের স্ত্রী। কিন্তু শনিদেব শ্রীকৃষ্ণের পুজায় মগ্ন ছিলেন। স্ত্রীর শত ডাকেও শনিদেব সাড়া দেননি। এটা দেখে শনিদেবের স্ত্রী রাগান্বিত হয়ে স্বামীকে অভিশাপ দেন। তিনি অভিশাপ দিয়েছিলেন, আজকের পর যাঁকে শনির দেখবেন তিনি ধ্বংস হয়ে যাবেন।
অনুতপ্ত শনিদেবের স্ত্রী
তপস্যা শেষে শনিদেব যখন স্ত্রীর দিকে না তাকানোর কারণ বললেন, তখন তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। তাঁর স্ত্রীর মনে হয় অকারণে নিজের স্বামীকে অভিশাপ দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু অভিশাপ ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। ঠিক সেই দিন থেকেই শনি মাথা নিচু করে হাঁটতে শুরু করেন। কারণ তিনি চান না যে তাঁর চোখ কারও ধ্বংসের কারণ হোক।