জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, শনির সাড়ে সাতি যেকোনও ব্যক্তির জীবনে সাড়ে সাত বছর স্থায়ী হয়। বর্তমানে মকর, ধনু ও কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের উপর শনির সাড়ে সাতি চলছে। যেকোনও ব্যক্তির রাশিচক্র বিচার করে বলা যায় যে শনির সাড়ে সাতি তাঁর জন্য শুভ ফল দেবে না অশুভ। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হচ্ছে, কোনও ব্যক্তির রাশিচক্রে যদি শনি শক্তিশালী থাকে তাহলে তা উপকারী ফল দেয়, আর যদি শনি দুর্বল থাকে, তাহলে সেটি তাঁর জন্য বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু নিয়ম যার মাধ্যমে শনির প্রতিকার করা যায়।
শনি সাড়ে সাতি প্রতিকারের উপায়
১. প্রতি শনিবার নিয়ম-বিধি মেনে শনিদেবের পুজো করলে শনিদেবের কৃপা পাওয়া যায়।
২. দরিদ্রদের সাহায্য করতে ভুলবেন না, যতটা সম্ভব শনি সংক্রান্ত জিনিসপত্র দান করুন।
৩. শনিকে শক্তিশালী করতে ডান হাতের মধ্যমা আঙুলে লোহার আংটি পরুন। তবে সেই আংটিটি যেন ঘোড়ার নালের তৈরি হয় সেটি খেয়াল রাখবেন। তাহলেই সেটি উপকার দেবে।
৪. প্রতি শনিবার শনিদেবকে তামা ও তিলের তেল অর্পণ করুন।
৫. শনিবার শনি স্তোত্র পাঠ করুন।
৬. শনিবার বা নিয়মিতভাবে কাককে শস্য এবং পিঁপড়েদের মধু বা চিনি খাওয়ান।
৭. যতটা সম্ভব প্রতিবন্ধীদের সেবা করুন।
সাড়ে সাতির সময় যে কাজগুলি করবেন না
১. যদি কোনও ব্যক্তির শনির সাড়ে সাতি চলে, তাহলে তাঁর যে কোনও ধরনের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা উচিত।
২. গাড়ি চালানোর সময় সাবধানে থাকুন।
৩. শনির সাড়ে সাতির সময়ে একা ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
৪. ঝগড়া-বিতর্ক থেকে দূরে থাকুন। শনিবার কালো রঙের কাপড় ও চামড়ার জিনিস কিনবেন না। এটা করলে শনি গ্রহ দুর্বল হয়ে যায়।
৫. অ্যালকোহল সেবন করবেন না এবং অন্যায় কাজ করবেন না।
Disclaimer : (প্রতিবেদনটি প্রচলিত বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে লেখা, প্রয়োজনে জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের আলোচনা করে নিতে পারেন)
আরও পড়ুন - চাকরি থেকে ব্যবসা, ঘুমন্ত ভাগ্য জেগে উঠবে এই এক পাথরেই