শিবলিঙ্গ নেই বাংলায় এমন ঘর মেলা মুশকিল! প্রতিদিন নিয়ম করে শিবের পুজো করেন বাঙালিরা। নারায়ণের বেশিই পুজো পান শিব। তিনি ভোলেনাথ আবার আদিদেবও। তাঁর মতো স্বামী পাওয়ার কামনা করেন অবিবাহিত মেয়েরা। শিবলিঙ্গকে জলাভিষেক করে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করেন ভক্তরা। রোজ আর মন্দিরে যাওয়া হয়ে ওঠে না। ঘরের শিবকেই ফুল-বেলপাতা দিয়ে তুষ্ট করেন। তবে শিব ভোলেবাবা হলেও কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। যেমন বাড়িতে শিবলিঙ্গ থাকলে কয়েকটি ভুল একদম করবেন না। নইলে কিন্তু পস্তাতে হবে। তেমনই কয়েকটি ভুলের কথা তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে-
১। মাথার উপরে পাত্র- ঘরের শিবলিঙ্গ পাথরের হয় সাধারণত। সেই সঙ্গে সোনা, রুপো বা পিতলের শিবলিঙ্গও রাখতে পারেন। শিবলিঙ্গের মাথার উপরে রাখবেন একটি পাত্র। এই পাত্র যেন জলে ভরা থাকে। সেই পাত্র থেকে যেন সারাক্ষণ জল ঝরে পড়ে।
২। তুলসী পাতা অর্পণ নয়- শিবলিঙ্গে কখনও তুলসী পাতা নিবেদন করবেন না। অনেকে ভুল করে শিবলিঙ্গে তুলসী পাতা দিয়ে ফেলেন, এটা অনুচিত। শিবলিঙ্গে সবসময় বেলপাতা অর্পণ করুন। সকালে জলাভিষেকের পর শিবলিঙ্গে চন্দনের তিলক লাগান।
৩। সাধারণ জল দিন- শিবলিঙ্গে কখনও নারকেল জল দেওয়া উচিত নয়। তবে নারকেল দিতে পারেন।
৪। চাঁপা ফুল- শিবলিঙ্গে কখনও চাঁপা ফুল অর্পণ করবেন না। কথিত আছে, চাঁপা ফুলকে অভিশাপ দিয়েছিলেন মহাদেব।
৫। হলুদ নয়- ভুল করেও শিবকে হলুদ অর্পণ করবেন। হলুদের তিলকও কাটবেন না। শিবকে কখনও হলুদ দেওয়া উচিত নয়। সবসময় চন্দনের তিলকই কাটবেন।
৬। সিঁদুর নয়- ভুলেও শিবলিঙ্গে সিঁদুর অর্পণ করবেন না। অনেকেই স্বামীর দীর্ঘায়ুর আশায় শিবলিঙ্গে সিঁদুর লেপে দেন বা সিঁদুরের কৌটো রেখে দেন। এটা একদম করবেন না। শিব হলেন বিনাশের দেবতা। তাই শিবলিঙ্গে সিঁদুর দিলে স্বামীর অমঙ্গল হয়।
৭। সাজিয়ে রাখার জন্য নয়- শিবলিঙ্গ সাজিয়ে রাখার জন্য নয়। শিবলিঙ্গ বাড়িতে থাকা মানে পুজোপাঠের জন্যই। তাই বাড়ির কোণায় শিবলিঙ্গ রাখবেন না। শিবলিঙ্গ যেখানে রাখবেন সেই জায়গাটি যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়। সম্ভব হলে বাড়ির এমন জায়গায় শিবলিঙ্গ রাখুন যেখানে বসে ধ্যান করতে পারেন।