How To Get Blessings Of Goddess Lakshmi: সংসারে অভাব দূর করার ক্ষমতা রাখে এই যন্ত্র, বাড়িতে থাকলে সৌভাগ্য,বলছে শাস্ত্র

শ্রীযন্ত্র নামটি দেখেই বোধা যায় যে এটি সম্পদের দেবীর যন্ত্র। শ্রীযন্ত্রের মহিমা অপরিসীম। আপনার বাড়িতে  শ্রীযন্ত্র স্থাপন করা উচিত। শ্রীযন্ত্র সমগ্র মহাবিশ্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। যিনি শ্রীযন্ত্রের পুজো করেন তিনি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের শক্তি দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন। প্রতিদিন শ্রী যন্ত্রের পুজো করা প্রয়োজন। আসলে শ্রীযন্ত্রকে সকল যন্ত্রের রাজা মনে করা হয়। এটি সমগ্র মহাবিশ্বের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। মূলত আর্থিক সমস্যা দূর করতে এই যন্ত্রের পুজো করা হয়। মাতা লক্ষ্মীর এই যন্ত্র আপনাকে ধনী করে তোলে। 

শ্রীযন্ত্র কী?
গয়ার রাজা আচার্যের মতে, শ্রীযন্ত্রকে শ্রীবিদ্যা বলা হয়। শ্রী মানে লক্ষ্মী আর লক্ষ্মী মানে সমগ্র জগতের ঈশ্বর। শ্রীযন্ত্র যা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যন্ত্র হিসাবে বিবেচিত হয়। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড  শ্রীযন্ত্রের মধ্যে নিহিত। শ্রীযন্ত্র নামটি নিজেই নির্দেশ করে যে এটি সম্পদের দেবীর যন্ত্র। শ্রীযন্ত্রের মহিমা অপরিসীম। আপনার  বাড়িতে শ্রীযন্ত্র স্থাপন করা উচিত। প্রতিদিন শ্রীযন্ত্রে কুমকুম লাগাতে হবে এবং এর আরতি করতে হবে। এর সাথে লক্ষ্মী মন্ত্রও পাঠ করতে হবে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শ্রীযন্ত্রের পুজো যদি সম্পূর্ণ আচারের সাথে করা হয়, তাহলে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে। ঘরে ধন বর্ষিত হয়। শ্রীযন্ত্রের আরাধনা শুধুমাত্র অর্থ পাওয়ার জন্য নয়, শ্রীযন্ত্র এমন একটি অলৌকিক যন্ত্র যাতে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শক্তি বিরাজ করে। যিনি শ্রীযন্ত্রের আরাধনা করেন তিনি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের শক্তি দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন।

যন্ত্রের প্রকার 
শ্রীযন্ত্র দুটি আকারে আসে, একটি ঊর্ধ্বমুখী এবং অন্যটি নিম্নমুখী।  ঊর্ধ্বমুখী অর্থাৎ উপরের দিকে এবং অধমুখী অর্থাৎ নীচের দিকে। শাস্ত্রে ঊর্ধ্বমুখী শ্রীযন্ত্রকে অধিকতর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

কীভাবে শ্রীযন্ত্র স্থাপন করবেন 
আপনি আপনার বাড়িতে বা যেকোনো মন্দিরে শ্রীযন্ত্র স্থাপন করতে পারেন। এটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রথমে এটিকে একটি রূপার পাত্রে রাখতে হবে। এরপর জলাভিষেক ও পুষ্পাভিষেক করতে হবে। এতে শ্রীযন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। শ্রীযন্ত্র স্থাপন করার পর অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মা লক্ষ্মীও শ্রীযন্ত্রে উপবিষ্ট। শ্রীযন্ত্র মানে মা সরস্বতী এবং ব্রহ্মা স্বরূপাণীও। তাদের সাথে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যে মহিলাদের মাসিক চক্র শুরু হয়, তিনি মহিলা শ্রীযন্ত্র স্পর্শ করবেন না। যে ব্যক্তি  সূতককে  থাকেন তাদেরও  স্পর্শ করা উচিত নয়। প্রতিদিন শ্রীযন্ত্রের পুজো করা প্রয়োজন। যদি একদিনের জন্যও পুজো বাদ পড়ে তবে প্রতি শুক্রবার মায়ের আরতি করতে হবে। এর পাশাপাশি যক্ষ লক্ষ্মী পাঠ করার সময় তারও পুজো  করা উচিত।

এই যন্ত্রগুলি এতটাই শক্তিশালী যে এদের পূজা করলে আর্থিক অবস্থার পার্থক্য অল্প সময়েই স্পষ্টভাবে দেখা যায়। পৃথিবীতে এমন কোনও ব্যক্তি নেই যিনি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন না। বর্তমান সময়ে মানুষের প্রথম প্রয়োজন টাকা। যার  জন্য সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। অথচ কিছু মানুষ জন্ম থেকেই সম্পদ পায়। অনেক সময় অর্থের জন্য করা চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিতে জ্যোতিষশাস্ত্রের কিছু বিশেষ প্রতিকার অর্থের অভাব দূর করতে সহায়ক হতে পারে। 

শ্রীযন্ত্রকে অলৌকিক বলে মনে করা হয়
মা লক্ষ্মীর শ্রীযন্ত্র সম্পদ লাভের জন্য অত্যন্ত অলৌকিক বলে মনে করা হয়। আসলে এই যন্ত্রটিকে লক্ষ্মীর রূপ বলে মনে করা হয়। দেব-দেবীর পুজোর জন্য প্রাচীনকাল থেকেই যন্ত্রের ব্যবহার হয়ে আসছে। সমস্ত যন্ত্রের মধ্যে শ্রীযন্ত্রকে বিশেষ মনে করা হয়। এমন অবস্থায় আপনি যদি নিয়মিত শ্রী যন্ত্রের পুজো করেন তাহলে অবশ্যই অর্থ লাভ হবে। 

সুখ ও মোক্ষ লাভ হয়
ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তি এই যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে যথাযথভাবে পুজো করেন, তিনি দেবী লক্ষ্মীর কৃপায়  সুখ ও মোক্ষ লাভ করেন। এর সাথে তার জীবন থেকে আর্থিক কষ্ট দূর হয়। এর পাশাপাশি জীবনের সমস্ত বৈষয়িক সুখও অর্জিত হয়। 

এই ভাবে শ্রী যন্ত্রের পুজো করুন
সকালে স্নানের পর  শ্রীযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন। উপাসনাস্থলে পরিষ্কার আসনে বসুন। এর পরে, একটি লাল কাপড়ে শ্রীযন্ত্রটি রাখুন। এবার তার ওপর গঙ্গাজল ও দুধ ছিটিয়ে দিন। এরপর পঞ্চামৃত দিয়ে শ্রীযন্ত্রকে স্নান করান। তারপর লাল চন্দন, লাল রঙের ফুল, রোলি, অক্ষত বা অখণ্ড চাল দিয়ে শ্রীযন্ত্রের পুজো করুন। এর পরে, তার উপর লাল রঙের চুনরি বা ওড়না নিবেদন করুন। ধূপ-দীপ দিয়ে শ্রীযন্ত্রের আরতি করুন। আরতির পর লক্ষ্মী মন্ত্র, শ্রীসুক্ত ও দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করুন। এরপর নিয়মিত এই যন্ত্রের পুজো করতে হবে। পুজোর পর ওম শ্রীম হ্রিম শ্রীম নমঃ এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করুন। 

শ্রীযন্ত্র স্থাপনের নিয়ম

• শ্রীযন্ত্রের প্রতিষ্ঠা সর্বদা শুভ সময়ে করা উচিত। 
• এটি স্থাপনের পরে, বাড়িতে মাংস এবং মদ খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও, বাড়িতে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়। 
• সঠিকভাবে তৈরি শ্রীযন্ত্রের পুজো করলেই মনস্কামনা পূরণ হয়। ভুলভাবে তৈরি শ্রীযন্ত্রের পুজো করে কোনো লাভ নেই। 
• শ্রী যন্ত্র স্থাপনের পর এর সামনে প্রতিদিন মন্ত্র জপ করতে হবে। 

(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)