ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ফাল্গুনী পূর্ণিমাতেই বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির আর রং নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য সখীদের সঙ্গে খেলায় মেতেছিলেন। সেই সময় থেকেই দোল উৎসবের প্রচলন হয়।
বাঙালি যেদিন দোল উৎসব পালন করে, বাকি ভারতবাসী তার পরের দিন হোলি উৎসব পালন করে থাকে। তবে দোলের ঠিক আগের দিন পালিত হয় হোলিকা দহন। স্থান ভেদে তা কোথাও কোথাও চাঁচর, বুড়ির ঘর বা ন্যাড়া পোড়া নামেও পরিচিত। হোলিতে সারা ভারতের সাথে সাথে উৎসবে মেতে ওঠে পূণ্য ব্রজভূমি বৃন্দাবনও। এই দিন বাড়ির আশেপাশ, ঘরের ধুলো এবং মাকড়শার জাল পরিষ্কার করুন। পুরনো, ভাঙ্গা এবং ছেড়া জিনিস বাড়ি থেকে পরিত্যাগ করুন। এতে অশুভ শক্তি বা নেগেটিভিটি থেকে বাড়ি মুক্ত থাকবে।
দোল উৎসব বসন্তকালে উদযাপিত হয় বলে একে বসন্ত উৎসবও বলা হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মের মূলত তিনটি ভাগ রয়েছে বৈষ্ণব, শক্ত এবং শৈব। এদের মধ্যে দোলযাত্রা মূলত বৈষ্ণবদের পর্ব। বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমাতে বৃন্দাবনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির ও রং নিয়ে শ্রী রাধা রাণী ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলেছিলেন। আর তার থেকেই উৎপত্তি হয়েছে এই দোল উৎসবের।
দোল পূর্ণিমা হিন্দুদের কাছে এক অত্যন্ত পবিত্র তিথি হওয়াতে, শাস্ত্র মতে এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম-কার্য পালন করলে মানুষের আর্থিক, পরমাত্মিক এবং সাংসারিক শ্রীবৃদ্ধি লাভ সম্ভব হয়। এই বিশেষ তিথিতে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে গোপাল পুজো করলে ঈশ্বরের বিশেষ কৃপা লাভ করা যায়। এছাড়া আপনারা নিজেদের আরাধ্য দেবতাদেরও পুজো করতে পারেন এই দিন। এই দিনের পূর্ণিমা তিথিতে নিজেদের বাড়িতে পুজোকে শুভ বলে মানা হয়।
দোল পূর্ণিমার তিথি কখন থেকে পড়ছে
২০২৩ সালে দোল পূর্ণিমা পড়ছে ৭ মার্চ এবং ৮ মার্চ পড়ছে হোলি। দোল পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ৬ মার্চ ৪টে ২০মিনিটে। তবে হোলি উৎসবটি পালিত হয় দোলযাত্রার ঠিক পরদিন। ফাল্গুনী পূর্ণিমা তথা দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি অত্যন্ত পবিত্র তিথি। দোল পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে ৭ই মার্চ অর্থাৎ ২২ শে ফাল্গুন মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৬টা ০২মিনিটে। এই সময়ের মধ্যে নারায়ণ পুজো হতে পারে।
কীভাবে পুজো করবেন