Advertisement

Sovabazar Rajbari Durga Puja Bhog: পুজোর ভোগে হরেকরকম মিষ্টি-নোনতা, শোভাবাজার রাজবাড়িতে এলাহি আয়োজন

পুজো মানেই মিষ্টিমুখ। যে কোনও শুভ কাজে যেমন মিষ্টি লাগে, তেমন দুর্গোৎসবেও তার ব্যতিক্রম ঘটে না। আর বাঙালি মানেই তো মিষ্টি অন্ত প্রাণ। কলকাতার বারোয়ারি দুর্গাপুজোর আড়ম্বরের পাশাপাশি যে কয়েকটি বনেদি বাড়ির পুজোয় আম-জনতার বাড়তি আকর্ষণ থাকে, তার মধ্যে অন্যতম শোভাবাজার রাজবাড়ি। উত্তর কলকাতার এই রাজবাড়িতে প্রতি বছরই ঠাকুর দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। এই পুজোয় ভোগের কথা জানলে যে কারও জিভে জল আসবে। 

শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। ফাইল চিত্র।শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। ফাইল চিত্র।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 10 Oct 2024,
  • अपडेटेड 1:34 PM IST
  • পুজো মানেই মিষ্টিমুখ।
  • এই রাজবাড়িতে প্রতি বছরই ঠাকুর দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ।
  • ভোগের কথা জানলে যে কারও জিভে জল আসবে। 

পুজো মানেই মিষ্টিমুখ। যে কোনও শুভ কাজে যেমন মিষ্টি লাগে, তেমন দুর্গোৎসবেও তার ব্যতিক্রম ঘটে না। আর বাঙালি মানেই তো মিষ্টি অন্ত প্রাণ। কলকাতার বারোয়ারি দুর্গাপুজোর আড়ম্বরের পাশাপাশি যে কয়েকটি বনেদি বাড়ির পুজোয় আম-জনতার বাড়তি আকর্ষণ থাকে, তার মধ্যে অন্যতম শোভাবাজার রাজবাড়ি। উত্তর কলকাতার এই রাজবাড়িতে প্রতি বছরই ঠাকুর দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। এই পুজোয় ভোগের কথা জানলে যে কারও জিভে জল আসবে। 

দেবী দুর্গাকে মিষ্টি ভোগ দেওয়া হয় শোভাবাজার রাজবাড়িতে। যা মিঠাই ভোগ নামে পরিচিত। হরেক রকমের লোভনীয় মিষ্টি রাজবাড়িতেই বানানো হয়। পুজোর ক'টা দিন সেই মিষ্টিই মা দুর্গাকে নিবেদন করা হয়। 

মিঠাই ভোগে কী কী থাকে? 


শোভাবাজার রাজবাড়ির সদস্য শুভদীপ কৃষ্ণ দেব পুজোর ভোগ প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, রাজবাড়িতে দু'রকমের ভোগ হয়। ষষ্ঠী থেকে নবমী কাঁচা চাল, সবজি, ফল দিয়ে নৈবেদ্য দেওয়া হয়। এছাড়াও এই ৫ দিন  শোভাবাজার রাজবাড়িতে ভিয়েন বসে, সেখানে রাজবাড়ির নিজস্ব কিছু মিষ্টান্ন তৈরি করা হয়, যেটাকে মিঠাই বলা হয়। তিনি বলেছিলেন, 'মিঠাই ভোগ মা দুর্গাকে নিবেদন করে আমরা বাড়ির সকলে সেই ভোগ গ্রহণ করি। ১০-১২ রকমের মিষ্টি-নোনতা খাবার হয়, যার মধ্যে লাল মিঠাই ও সাদা মিঠাই প্রধান। লাল মিঠাই হচ্ছে সাধারণ লাড্ডু ও সাদা মিঠাইকে মতিচুর বলা হয়, এটা একেবারে অন্যরকম মিষ্টি, যার স্বাদ দারুণ।' 

তিনি এও জানিয়েছিলেন, এই মিষ্টি ছাড়াও থাকে চৌকো গজা, যাকে ক্ষীর গজাও বলা যায়। এছাড়াও থাকে মিঠে গজা, পান্তুয়া ও জিলিপি থাকে। শোভাবাজার রাজবাড়ির এই জিলিপির বিশেষত্ব হল এটি সাধারণ জিলিপির চেয়ে একটু বড় হয়। এছাড়া শিঙাড়া, কচুরি, নিমকি থাকে, ভোগে দেওয়া হয়। পুজোর চারদিনই মিঠাই ভোগ দেওয়া হয় মাকে। 

নবমীর দিন চালকুমড়ো, মাগুর মাছ বলি দেওয়া হলেও, পরে সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই শোভাবাজার রাজবাড়িতে ভোগ হিসাবে কিন্তু কোনও আমিষ ভোগ দেওয়া হয় না। এমনকী, মাছ ভোগেরও কোনও নিয়ম নেই। বরং এই বাড়ির ভোগ বলতে মায়ের কাছে নিবেদন করা হয় মিঠাই বা মিষ্টি। মিষ্টি ও নোনতা সবই কিন্তু তৈরি হয় বাড়িতেই। 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement