অতি বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব৷ শতাব্দীর দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে আগামী মাসেই। প্রায় ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের জন্য অন্ধকারে ঢাকা পড়বে পৃথিবী। এবছরের শেষ সূর্যগ্রহণ এটাই। এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২১ সেপ্টেম্বর, মহালয়ার দিন। তবে ভারত থেকে কি এটি দেখা যাবে?
বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য
২ বছর পর ফের রাতের আকাশে বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। প্রায় ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ড স্থায়ী হবে এবছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। বিশেষজ্ঞদের মতে ১৯৯১ থেকে এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণগুলির মধ্যে একটি। পরবর্তীতে এমন দৃশ্য ফের দেখা যাবে ২১১৪ সালে।
পৃথিবীর কোন কোন অংশ থেকে দেখা যাবে?
বিরলতম এবং দীর্ঘতম হলেও এটি আংশিক সূর্যগ্রহণ। পৃথিবীর সমস্ত প্রান্ত থেকে এটি দেখা যাবে না। ভারত থেকেও এই সূর্যগ্রহণ দেখার কোনও সুযোগ হবে না।
তবে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিশর, সুদান, সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সোমালিয়া সহ আফ্রিকার দেশগুলিতে দেখা যাবে এই বিরল সূর্যগ্রহণ। এছাড়াও দৃশ্যমান হবে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ অংশে, প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে, আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু অংশে, অ্যান্টার্কটিকায়। রয়্যাল মিউজিয়ামস গ্রিনউইচের সিনিয়র জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রেগ ব্রাউনের মতে, এই সূর্যগ্রহণটি চিত্তাকর্ষক হবে। ছ'মিনিটেরও বেশি স্থায়ী হবে যা এই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনাগুলির মধ্যে ব্যতিক্রমী হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, 'সূর্যগ্রহণের মেয়াদ সর্বনিম্ন সময়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ৭.৫ মিনিট পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। পৃথিবী সূর্য এবং চাঁদের মাঝে চলে এলে হয় চন্দ্রগ্রহণ। পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায় চাঁদ। চাকতিতে চাকতিতে মিলে যায়। আবার যখন চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝে চলে আসে তখন হয় সূর্যগ্রহণ। সূর্যের আলো তখন পূর্ণ কিংবা আংশিক রূপে বাধাপ্রাপ্ত হয়।'
সূর্যগ্রহণের তারতম্য
মহাজগতে ৩ ধরনের সূর্যগ্রহণ হয়। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে সূর্যের আলো সম্পূর্ণরূপে আটকে দেয় চাঁদ৷ যার ফলে পৃথিবীতে পৌঁছতে পারে না সূর্যালোক৷ আকাশে প্রস্ফুটিত হয় সূর্যের করোনা বা বলয়। আংশিক সূর্যগ্রহণ বা খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণে সূর্যকে আংশিকভাবে ঢেকে দেয় চাঁদ৷ যার ফলে পৃথিবীতে আংশিক ছায়া তৈরি হয়। সূর্যের বলয়গ্রাসে চাঁদের চারপাশে আলোর বলয় তৈরি হয়।
সূতক কাল
গ্রহণ ভারত থেকে দৃশ্যমান না হওয়ায় সূতক কাল প্রযোজ্য হবে না। তবে এই সূর্যগ্রহণের মোট সময়কাল হবে প্রায় ৪ ঘন্টা ২৪ মিনিট। মাঝামাঝি গ্রহণ বা গ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় তৈরি হবে রাত ১টা ১১ মিনিটে।
কোন কোন রাশির উপর প্রভাব?
২১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মহালয়ার দিন সূর্যগ্রহণ হবে। সেদিনই হবে পিতৃপক্ষের অবসান। ৩ রাশির জীবনে আমূল পরিবর্তন আসবে।
মিথুন: পিতৃপক্ষের অবসানে তৈরি হতে চলেছে বিশেষ মহাজাগতিক ঘটনা। মিথুন রাশির জাতকদের জীবন খুশিতে ভরে উঠবে। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। আয়ের নতুন দিশা উন্মোচন হবে। পরিবারেও সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকবে। অফিসে সহকর্মীরা সহায়ক হবে।
ধনু: ধনু রাশির জাতকদের জন্য এই সময়টা অত্যন্ত লাভজনক হতে চলেছে। দীর্ঘসময় ধরে যে মানসিক চাপ চলছিল তা গায়েব হবে। কাজে মন বসবে। বিজনেসে ফায়দা হবে। চাকরি এবং ব্যবসা দুই ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
মকর: মকর রাশির জাতকদের প্রোমোশন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসায় ফায়দা হবে। এই গ্রহণের সময়ে সমস্ত প্রচেষ্টা সফল হবে। প্রতি ক্ষেত্রেই উন্নতি হবে।