হিন্দু ধর্মে তুলসীকে (Tulsi) অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। প্রায় প্রতিটি মন্দির তো বটেই, এমনকি প্রতিটি বাড়িতেই তুলসী গাছ থাকে। যেখানে রোজ, জল, ফুল, ধূপ, প্রদীপ দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে তুলসীর ব্যবহার অত্যন্ত শুভ। পূরণ মতে, বাড়িতে তুলসী গাছ রাখার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সঠিক নিয়ম না মানলে জীবনে খারাপ প্রভাব পড়ে।
বাড়ির কোথায় রাখবেন তুলসী গাছ?
বাস্তু মতে, পূর্ব, উত্তর -পূর্ব, উত্তর কিংবা বাড়ির একেবারে কেন্দ্রীয় অংশে তুলসী গাছ রাখলে তা পরিবারের জন্য শুভ।
তুলসী গাছ রাখার বাস্তু নিয়ম
* সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, কার্তিক মাসের বৃহস্পতিবার তুলসী গাছ লাগানো সবচেয়ে শুভ। তবে মনে রাখা জরুরী, তুলসী গাছ সব সময় বিজোড় সংখ্যায় রাখতে হয়।
* তুলসী পাতা শুকনো হয়ে গেলে অনেক সময় আমরা ফেলে দি। কিংবা খেয়াল না করলে পায়ের তলায় পড়ে। এই ভুল কোনও ভাবেই করবেন না। শুকনো তুলসি পাতা তুলে, তুলসী গাছের মাটিতে পুঁতে দিন। এমনকী শুকনো তুলসী পাতা বাড়িতেই রাখা শুভ। তবে সেক্ষেত্রে, এটি রাখতে হবে বাড়ির দক্ষিণ -পূর্ব দিকে। এই দিকটি আগুনকে প্রতিনিধিত্ব করে।
* তুলসী গাছের চারিপাশ পরিষ্কার রাখতে হয়। কোনও রকম জমা ময়লা, ঝাড়ু, পুরোনো কাপড়, আবর্জনা, কাঁটাযুক্ত গাছ, তুলসি গাছের আশেপাশে রাখবেন না।
* বাড়ির অন্ধকার দিকে কখনই তুলসী গাছ রাখবেন না। খোলামেলা -আলোকিত স্থানে রাখুন। সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ জ্বালান তুলসি তলায়। কখনই তুলসী পাতা নখ দিয়ে ছিঁড়বেন না।
কবে তুলসী পাতা ছেঁড়া অশুভ?
একাদশী, পূর্ণিমা, অমাবস্যা, সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ, রবিবার, রাত্রিবেলা- এই দিনগুলিতে কিংবা সময় তুলসি গাছ থেকে পাতা ছেঁড়া অশুভ।
তুলসী গাছের নানাবিধ গুণ
তুলসী শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক দিয়ে শুভ নয়। এই গাছের ওষধি গুণ অত্যন্ত বেশি। স্ট্রেস কমানো, সর্দি -কাশি কমানো, জীবণুমুক্ত করার মতো একাধিক গুণ রয়েছে তুলসীর। এছাড়াও তুলসী গাছ বায়ু শোধন করতে পারে। এই গাছ বাতাস থেকে সালফার-ডাই- অক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডের শোষণ করে প্রচুর অক্সিজেন ছড়িয়ে দেয় পরিবেশে।