
হিন্দু ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, বাস্তুর নিয়ম মেনে চললে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। উপহার বিনিময় সম্পর্কিত বাস্তুশাস্ত্রের নিয়মও উল্লেখ করা আছে। আসলে, বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রিয়জনদের উপহার দেওয়া সবসময়ই একটি ঐতিহ্য। বলা হয় যে উপহার বিনিময় মানুষের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি করে এবং সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। তবে, কখনও কখনও আমরা অজান্তেই এমন উপহার দিই যা নেতিবাচক শক্তির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই, জেনে নিন কোন উপহার কখনও কাউকে দেওয়া উচিত নয়।
ঘড়ি
বাস্তু অনুসারে, ঘড়ি উপহার দেওয়া অশুভ। বিশ্বাস অনুযায়ী, ঘড়ি দিলে সম্পর্কের মধ্যে বাধা বা দূরত্ব তৈরি হতে পারে। কখনও কখনও, ঘড়ি উপহার দিলে সম্পর্ক ধীরে ধীরে শেষ হয়। তাও ঘড়ি উপহার দিতে চাইলে, এর সঙ্গে এক বা এগারো টাকা দিতে ভুলবেন না। বিশ্বাস করা হয়, এটি করলে উপহারের অশুভ প্রভাব কেটে যায়।
রুমাল
রুমাল দরকারী জিনিস হলেও, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে উপহার হিসেবে দেওয়া অশুভ। বলা হয় যে রুমাল দুঃখ এবং কান্নার সঙ্গে জড়িত। তাই, কাউকে রুমাল দেওয়ার অর্থ ভবিষ্যতে সম্পর্কের মধ্যে দুঃখ বা দূরত্ব তৈরি হতে পারে। রুমাল দিলে, সেই ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়া হতে পারে। কাউকে রুমাল দিতে হলে, এক টাকা দিয়ে দিন।
ধারালো জিনিস
বাস্তু অনুসারে, ছুরি বা কাঁচির মতো ধারালো জিনিস উপহার দেওয়া অনুচিত। বলা হয় যে এই জাতীয় জিনিস সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব আনতে পারে। ছুরি বা কাঁচি উপহার দিলে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে পারে এবং পরিবারের মধ্যে নেতিবাচক শক্তিও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কাচ
বাস্তুশাস্ত্রে আয়নাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, কারণ এগুলি ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় শক্তির প্রতীক। এই কারণে, কাউকে আয়না উপহার দেওয়া অশুভ বলে বিবেচিত হয়। বলা হয় যে আয়না জীবন থেকে সৌভাগ্য নষ্ট করে এবং কখনও কখনও সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা বা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, প্রেমিক- প্রেমিকা বা বিবাহিত দম্পতিকে আয়না উপহার দিলে তাদের সম্পর্কের মধ্যে বিবাদ বা দূরত্ব তৈরি হতে পারে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)