Vastu Sleeping Direction: ভাল এবং পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ভাল ঘুমের জন্য শোওয়ার সঠিক দিক কোনটা তা আগে জানা প্রয়োজন। আপনি কীভাবে ঘুমোন, কোন দিকে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছেন, তা আপনার জীবনে নানা ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ঘুমানোর সময় আপনার সঠিক দিকে মাথা বা পা না থাকলে আপনার জীবনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি, সঠিক দিকে মাথা রেখে ঘুমোলে শুধু ভাল ঘুম হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সচ্ছলতাও বৃদ্ধি পায়। আজ জেনে নিন বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ঘুমানোর সময় কোন দিকে মাথা রাখা শুভ আর কোন দিকে ফিরে ঘুমোলে অর্থকষ্ট, অসুস্থতা, অশান্তির আশঙ্কা বাড়ে...
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, দক্ষিণ দিকে মুখ বা মাথা করে ঘুমানো শুভ বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিকে মাথা রেখে ঘুমোলে আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং সব ধরনের মানসিক সমস্যা আপনার থেকে দূরে থাকে। বাস্তু মতে, দক্ষিণ দিকে পা দিয়ে ঘুমোলে একাধিক সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
দক্ষিণ দিকে পা দিয়ে ঘুমানো ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও খুব অশুভ মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞান ভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এই অভ্যাস ক্ষতিকর। এটা বিশ্বাস করা হয় যে দক্ষিণ দিকে পা দিয়ে ঘুমোলে চৌম্বকীয় স্রোত পায়ের তলা দিয়ে প্রবেশ করে এবং মাথা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর ফলে আপনার মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।
ঘুমের জন্য বাস্তু মতে, দ্বিতীয় সঠিক দিকটি হল পূর্ব দিক। দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে ঘুমানো সম্ভব না হলে পূর্ব দিকে মাথা রেখে ঘুমানো যেতে পারে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, পূর্ব দিকে মাথা রেখে ঘুমোলে দেবতাদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। পাশাপাশি, এই দিক থেকে সূর্যের উদয়ের ফলে, এটি একটি জীবনদায়ী দিক হিসাবে বিবেচিত হয়। ভুল করেও পূর্ব দিকে পা রেখে ঘুমাবেন না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি অশুভ বলে বিবেচিত হয়।
আপনি যদি আপনার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হন অথবা আপনি যদি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী হন, তাহলে আপনার পূর্ব দিকে মাথা রেখে ঘুমানো সবচেয়ে ভাল। স্কুল বা কলেজ পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও পূর্ব দিকে মুখ করে ঘুমানো শুভ বলে মনে করা হয়। বাস্তু মতে, পূর্ব দিকে মাথা রেখে ঘুমোলে একাগ্রতা বাড়ে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।