হিন্দু ধর্মে, রান্নাঘরকে দেবী অন্নপূর্ণার বাসস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মা অন্নপূর্ণা খাদ্যের দেবী হিসেবে পরিচিত এবং বিশ্বাস করা হয়, যে বাড়িতে রান্নাঘর পবিত্র, পরিষ্কার এবং বাস্তু অনুসারে থাকে, সেখানে কখনও খাদ্য ও সম্পদের অভাব হয় না। বাস্তুশাস্ত্র রান্নাঘরকে ঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করে।
অনেক সময়, মানুষ অজান্তেই রান্নাঘরে এমন জিনিসপত্র রাখে যা ঘরে নেতিবাচক শক্তি এবং দারিদ্র্য আনতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক রান্নাঘরে কোন কোন জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত।
ভাঙা বাসনপত্র রাখবেন না
ভাঙা বা ফাটা বাসনপত্র কখনও রান্নাঘরে রাখা উচিত নয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এই ধরণের বাসনপত্রে খাবার খেলে ঘরে দারিদ্র্য এবং কলহের পরিবেশ তৈরি হয়। ভাঙা বাসনপত্র কেবল নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে না, সেই সঙ্গে দারিদ্র্য এবং সম্পদের অভাবের লক্ষণ হিসেবেও বিবেচিত হয়। এই ধরনের বাসনপত্র অবিলম্বে ঘর থেকে ফেলে দেওয়া উচিত।
বাসি এবং নষ্ট খাবার এড়িয়ে চলুন
অনেকে রান্নাঘরে বা ফ্রিজে বাসি, পচা বা নষ্ট খাবার রেখে যান। বাস্তুশাস্ত্র এটিকে একটি গুরুতর পাপ বলে মনে করে। এটি পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের বাড়িতে দেবী অন্নপূর্ণার আশীর্বাদ থাকে না। তাই রান্নাঘরে সর্বদা তাজা এবং বিশুদ্ধ খাবার রাখুন।
রান্নাঘরে আয়না রাখবেন না
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, রান্নাঘরে আয়না রাখা শুভ নয়। এটি বাস্তু ত্রুটি তৈরি করে এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রান্নাঘর শক্তির উৎস, এবং আয়নার প্রতিফলন নেতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে দিতে পারে।
ঝাড়ু এবং নোংরা পোশাক
রান্নাঘরে ঝাড়ু বা নোংরা পোশাক রাখাও একটি মহাপাপ বলে বিবেচিত হয়। ঝাড়ুকে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রান্নাঘরে রাখলে দেবী লক্ষ্মীর অপমান হয়, যা ঘরে দারিদ্র্য এবং সম্পদের ক্ষতি করতে পারে। নোংরা কাপড় রান্নাঘরের পবিত্রতা নষ্ট করে এবং নেতিবাচক শক্তিকে বাস করতে দেয়। ঝাড়ু সর্বদা অন্যদের নাগালের বাইরে নিরাপদ স্থানে রাখুন। এছাড়াও, রান্নাঘরে ব্যবহৃত পোশাক সর্বদা পরিষ্কার এবং পরিপাটি রাখুন।