
অনেক সময় মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে টাকা আয় করে, কিন্তু টাকা সঞ্চয় হয় না। অনেকেরই আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। যদি আপনি এই সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে এর একটি কারণ হতে পারে আপনার বাড়িতে বাস্তু দোষ। এর সমাধানের জন্য, আপনি বিভিন্ন বাস্তু প্রতিকার করতে পারেন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ময়ূরের পালককে অত্যন্ত পবিত্র এবং শুভ প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়, যা তিনি সর্বদা তাঁর মুকুটে পরেন। বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে সঠিক দিকে ময়ূরের পালক রাখলে কেবল ইতিবাচক শক্তিই সঞ্চারিত হয় না, বরং সম্পদও বৃদ্ধি পায়।
বাস্তু ত্রুটি দূর হবে
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ময়ূরের পালক নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচকতা বৃদ্ধি করে। যদি এটি সঠিক স্থানে রাখা হয়, তবে এটি আর্থিক সংকট দূর করতে সহায়ক হতে পারে। বিশ্বাস করা হয় যে ময়ূরের পালকের প্রভাব ঘরে কলহ কমায় এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে। তবে এটি তখনই প্রভাব ফেলে যখন এটি সঠিক দিকে রাখা হয়।
ময়ূরের পালক রাখার সঠিক দিক
ময়ূরের পালক রাখার জন্য বাড়ির পূর্ব বা উত্তর দিক সবচেয়ে শুভ বলে বিবেচিত হয়। এই দিকগুলিতে রাখলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শান্তি ও সুখ বজায় থাকে। এটি কেবল মানসিক শান্তিই দেয় না বরং আর্থিক সমৃদ্ধিও বৃদ্ধি করে। সূর্য দেবতা এবং ইন্দ্র দেবকে বাড়ির পূর্ব দিকের অধিপতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ হল, বাড়ির পূর্ব দিকে ময়ূরের পালক রাখা লাভজনক। এছাড়াও, বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে ময়ূরের পালক রাখলে প্রচুর সম্পদ লাভের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে ময়ূরের পালক রাখা সকলের জন্য উপকারী নয়। তবে যার কুণ্ডলীতে রাহু দোষ আছে তার বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে ময়ূরের পালক রাখা উচিত। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রতিকার রাহু দোষ দূর করে এবং ঘরে সমৃদ্ধি বজায় রাখে।
বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি আপনার বাড়িতে একটি ময়ূরের পালক থাকে, তাহলে এটি ঘরে উপস্থিত বাস্তু দোষ দূর করতে পারে। ৮টি ময়ূরের পালক একসঙ্গে বেঁধে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দেওয়ালে রাখা উচিত। এই প্রতিকারটি ঘরে উপস্থিত বাস্তু দোষ দূর করে। মনে রাখবেন যে সকলের এটি লক্ষ্য করা উচিত।
পুজোর স্থানে রাখুন
আপনি আপনার পুজোর স্থানে ময়ূরের পালকও রাখতে পারেন। এটি করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ থাকে এবং ঘরে আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, ময়ূরের পালক যদি আলমারিতে রাখা হয়, তাহলে তা সম্পদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থের সমস্যা কমে যায়।