অনেক সময় চেষ্টা করেও মেলে না কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। এর জন্য ভাগ্য তো থাকেই সেই সঙ্গে বাস্তুরও গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তুদোষ থাকলে শত চেষ্টাতেও ফল মেলে না। মানুষ অবসাদে চলে যায়। তাই বাড়ির বাস্তু সংক্রান্ত নিয়মগুলি জানা জরুরি। বাড়ির দরজা থেকে পুজোঘরের পিছনে রয়েছে বাস্তু। বাস্তুদোষ থাকলে কাজে আসে বাধা, ঘিরে ধরে নেতিবাচক শক্তি। স্বাস্থ্যের উপরেও পড়ে খারাপ প্রভাব। তাই বাড়ি গোছানোর আগে বাস্তুবিধি জেনে নেওয়া দরকার। বাড়ি তৈরির সময় পুজোর ঘর বা দেবদেবী কোথায় রাখবেন তা জানাটা জরুরি। এতে ঘরে থাকে ইতিবাচক শক্তি, কোনও অশান্তির মুখে পড়তে হয় না।
সিঁড়ির নীচে- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে,বাড়ির পুজোর ঘর সিঁড়ির নীচে তৈরি করা উচিত নয়। তা অশুভ বলে মনে করা হয়। সেই সঙ্গে বাস্তু দোষ তৈরি হয়। বাড়িতে থাকে অশান্তি। ঘিরে ধরে নেতিবাচক শক্তি। ঘরে অশান্তি-ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এ কারণে মন সবসময় অশান্ত থাকে।
বাথরুমের পাশে- ঘরের বাথরুমের পাশে কখনও মন্দির তৈরি করবেন না। বাথরুমের উপরে বা নীচে দেবদেবীকে রাখবেন না। এমন স্থানে মন্দির নির্মাণ অপবিত্র বলে বিবেচিত হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাড়ির সদস্যদের।
বাড়ির বেসমেন্ট- বাস্তু অনুসারে, বাড়ির মন্দির বেসমেন্টেও তৈরি করা উচিত নয়। এতে কোনও লাভ হয় না। কারণ বেসমেন্টে অন্ধকার জায়গা। পুজো ঘর কখনও অন্ধকারে থাকা উচিত নয়। অন্ধকার জায়গায় পুজো ঘর তৈরি করা উচিত নয়। পুজোর ঘর বা দেবদেবীকে যেখানে রাখবেন তা যেন খোলা ও পরিষ্কার হয়।
বেডরুম- পুজোর ঘর বা দেবদেবীকে কখনও শোওয়ার ঘরে রাখা উচিত নয়। একটি মাত্র ঘর থাকলে শোওয়ার ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে পুজোর স্থান তৈরি করুন। শোওয়ার ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে সিংহাসনে দেবদেবী রেখে পর্দা লাগানোর ব্যবস্থাও রাখুন।
দেবদেবীর মূর্তির অবস্থান- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে দেবদেবীর মূর্তি ও ছবিকে সঠিক দিকে রাখা উচিত। ঈশ্বরের মূর্তি কখনও দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রাখা উচিত নয়। এটাকে অশুভ বলে মনে করা হয়।