জীবনধারণের জন্য অর্থের প্রয়োজন। সমস্ত চাহিদা পূরণ করতে পারে অর্থ। টাকা ছাড়া জীবনযাপন অসম্ভব। সকলেই চান যত বেশি টাকা সম্ভব কামাতে। জীবনে টাকার অভাব হলে সুখশান্তি থাকে না। তাই সকলেই অর্থ উপার্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অভাব পিছন ছাড়ে না। অনেকে জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেও সঞ্চয় করতে ব্যর্থ হন।এই সমস্যার পিছনে একটি বড় কারণ হতে পারে, বাস্তু ত্রুটি। বাস্তু দোষ দূর করার একাধিক উপায় আছে, যেগুলি অবলম্বন করলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি পার্সে টাকাপয়সার সঙ্গে কয়েকটি সৌভাগ্যশালী জিনিস রাখতে হবে। তাই অর্থের কোনও অভাব হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোনও ব্যক্তি তাঁর মানিব্যাগে কী কী জিনিস রাখবেন-
মা লক্ষ্মীর ছবি- শাস্ত্রে মা লক্ষ্মীকে সম্পদের দেবী বলা হয়েছে। লোকবিশ্বাস, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জীবনে কখনও অর্থের অভাব অনুভব করেন না। দেবীর আশীর্বাদ পেতে আপনার পার্সে বসার ভঙ্গিতে লক্ষ্মীর একটি ছোট ছবি রাখুন।
ধানের দানা- ধানের শীষকে অক্ষতও বলা হয়। হিন্দু ধর্মে ধানের শীষ অত্যন্ত শুভ ও পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। অনেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেও সঞ্চয় করতে পারেন না। তাই পার্সে রাখুন ধানের শীষের দানা। এই প্রতিকার করলে ব্যয় কমবে। সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়বে।
সোনা ও রুপোর মুদ্রা- সোনা এবং রুপোর মুদ্রা শুভ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। বাস্তু মতে, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা সঙ্গে রাখলে কখনও অর্থের অভাব হয় না। জীবনে বেশি বেশি অর্থ উপার্জন করতে এবং সঞ্চয় করার জন্য লক্ষ্মীর পায়ের কাছে সোনা-রূপার মুদ্রাটি কয়েকদিন রাখুন। তার পর শুক্রবার এটি তুলে আপনার পার্সে রাখুন। এতে আপনার জীবনে সর্বদা সুখ ও সমৃদ্ধি থাকবে।
লাল কাপড় বা কাগজ- আপনি যদি চান যে আপনার পার্স কখনও খালি না থাকে,তাহলে আপনি লাল কাপড় রাখতে পারেন। বাস্তু অনুসারে, আপনার পার্সে লাল রঙের কাপড় বা কাগজ রাখুন। লাল রংকে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক মনে করা হয়।
গোমতি চক্র- গোমতী চক্রকে জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। এটি দেবী লক্ষ্মীকে তুষ্ঠ করতে ব্যবহৃত হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে,দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদের জন্য গোমতিচক্র অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। মা লক্ষ্মীর পায়ে গোমতী চক্র অর্পণ করে পার্সে রাখলে অর্থের অভাব হয় না।
আরও পড়ুন- জানুয়ারি থেকে আগামী ৩ বছর শনির রোষে ৩ রাশি, জানুন বাঁচার উপায়