অনেক মানুষ আছেন যারা পশুপাখি ভালবাসেন। যদি আমরা গ্রামের কথা বলি, তাহলে সেখানে গরু, ছাগল, মোষের মতো প্রাণী পালন করা হয়। অন্যদিকে, শহরে মানুষ কুকুর, বিড়াল, খরগোশ বা মাছ পালন করে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কিছু প্রাণী আছে যা আপনার জন্য ভাগ্যবান এবং কিছু দুর্ভাগ্যজনক। এমন কিছু প্রাণী আছে যা আপনার জন্য ভাগ্যের পথ খুলে দেবে এবং সম্পদ, মহিমা এবং সমৃদ্ধিও বয়ে আনবে।
হিন্দুধর্মে কুকুরকে ভৈরব বাবার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে কুকুর পালন করলে মালিকের কষ্ট নিজের উপর নেয়। এছাড়াও, বাড়িতে কুকুর পালন করলে আর্থিক সঙ্কট দূর হয় এবং ঘরে দেবী লক্ষ্মীর বাস করেন। যদি আপনি কুকুর পালন করতে না পারেন, তাহলে প্রতিদিন কুকুরকে একটি রুটি খাওয়ানো উচিত।
ফেং শুইতে বাড়িতে মাছ রাখা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। ভগবান বিষ্ণুর মৎস্য অবতারের কারণে, হিন্দুধর্মে মাছ পালনকেও অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। বলা হয় যে মাছ রাখলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে এবং মাছ ঘরে আসা ঝামেলা নিজের উপর নিয়ে নেয়। অ্যাকোয়ারিয়ামে একটি সোনালি এবং একটি কালো মাছ রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।
বাস্তু শাস্ত্রে খরগোশকে সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, যে বাড়িতে খরগোশ থাকে, সেখানে নেতিবাচক শক্তি হ্রাস পায় এবং ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। খরগোশ পালন করলে শিশুদের অশুভ দৃষ্টি থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
কচ্ছপ রাখলে ঘরের সমস্ত নষ্ট কাজ ভাল হয়ে যায়। আপনার লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হয়ে যায়। কচ্ছপকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি মহালক্ষ্মীরও প্রতিনিধিত্ব করে। যদি বাড়িতে কচ্ছপ রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে ঘরে তামা বা রুপোর কাছিম রাখুন, এটি ঘরে সমৃদ্ধি আনে।
জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘোড়া রাখা খুবই শুভ এবং ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়, তবে প্রত্যেক ব্যক্তির পক্ষে ঘোড়া রাখা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে ঘোড়ার ছবি বা ঘোড়ার মূর্তি রাখার ঐতিহ্য রয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই প্রতিটি লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে ব্যাঙ রাখা খুবই শুভ। এটি ঘরে রোগ প্রবেশ করতে বাধা দেয়। যদি আপনি ব্যাঙ রাখতে না পারেন, তাহলে ঘরে একটি পিতল বা কাচের ব্যাঙ রাখুন। এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে পড়বে এবং পরিবারের সদস্যরা রোগ থেকে দূরে থাকবে।