সনাতন ধর্মে পূজিত হয় তুলসী গাছ। ঘরে থাকলে শ্রীবৃদ্ধি হয়। আসেন লক্ষ্মী। তুলসীর সবুজ গাছ সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। হিন্দু ধর্মে তুলসীকে দেবী লক্ষ্মীর রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই তুলসী পুজোর কিছু নিয়ম রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। এই নিয়ম অনুসারে, শুধুমাত্র তুলসীতে জল নিবেদন করলেই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায় না। বরং আরও কিছু নিয়ম পালন করলে সর্বাধিক ফল মেলে।
বাস্তুতে তুলসীর একাধিক নিয়ম বলা হয়েছে। তুলসীকে সঠিক দিকে রাখলেই শুভ ফল পাওয়া যায়। এছাড়া তুলসীতে জল দেওয়ার সময় কয়েকটি জিনিসের খেয়াল রাখা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত তুলসী পুজো করলে দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
তুলসীতে জল দেওয়ার নিয়ম
- শাস্ত্র মতে স্নান না করে তুলসী স্পর্শ করা পাপ বলে গণ্য হয়। তাই স্নান করার পরই সর্বদা তুলসীকে জল নিবেদন করুন।
- বিশ্বাস করা হয়, তুলসীকে জল দেওয়ার আগে কিছু খাওয়া উচিত নয়।
- তুলসীকে জল নিবেদনের সময় সেলাই না করা এক কাপড় পরুন। পরে জল নিবেদন করুন।
- রবিবার তুলসীতে জল দেওয়া উচিত নয়। তুলসী মাতা ওই দিনে বিশ্রাম নেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে একাদশীতেও তুলসীকে জল নিবেদন করবেন না। আসলে ওই দিনে তুলসী মাতা ভগবান বিষ্ণুর জন্য নির্জলা উপবাস পালন করেন বলে জনমত।
তুলসীতে বেশি জল দেবেন না। সূর্যোদয়ের সময় তুলসীতে জল দেওয়া শুভ বলে মনে করা হয়।
কোন দিকে রাখবেন তুলসী গাছ?
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন,তুলসী গাছ সবসময় পূর্ব দিকে লাগানো উচিত। এছাড়া উত্তর-পূর্ব দিকেও তুলসী গাছ রোপন করতে পারেন। এই দিকে তুলসী গাছ রাখলে ইতিবাচক শক্তি আসে ঘরে। সবুজ ও তরতাজা থাকে গাছ। এতে শুভ ফল মেলে। তবে দক্ষিণ দিকে তুলসী গাছ রাখবেন না।
জল নিবেদনের সময় এই মন্ত্রোচ্চারণ করুন
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, তুলসী গাছে জল নিবেদনের সময় এই বিশেষ মন্ত্রটি উচ্চারণ করা হলে সমৃদ্ধিপ্রাপ্তির সম্ভাবনা ১০০০ গুণ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি জপ করলে অসুখ-কষ্ট থেকে মুক্তি মেলে।
মন্ত্র- 'মহাপ্রসাদ জননী, সর্বসৌভাগ্যবর্ধিনী, আধি ব্যাধি হরা নিত্য, তুলসী ত্বং নমোস্তুতে।'
আরও পড়ুন- শ্রাবণ মাসে বাড়িতে তুলসীর সঙ্গে লাগান এই গাছগুলি, আসবে সুখ-অর্থ