Advertisement

Vishnu Purana : পরজন্মে কী হবেন, আগে থেকেই জানিয়ে দেয় বিষ্ণুপুরাণ

আত্মা আদি এবং এর যাত্রা এক দেহতে স্থায়ী থাকে না। এটিকে অনেকগুলি দেহের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং প্রতিটি দেহের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পিছনে কোনও না কোনও কারণ থাকে। বিষ্ণুপুরাণ, গীতা ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে এই কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আত্মার লক্ষ্য বিচরণ নয়, তাকে মোক্ষ লাভ করতে হবে। আত্মা যখন পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হয়, তখনই ঘটে মুক্তি। আত্মা কেবল পরমাত্মা লাভের জন্য বিভিন্ন দেহ গ্রহন করে। কিন্তু শুধুমাত্র একটি কামনার চক্রে আটকে গিয়ে আত্মাকে বারবার বিভিন্ন জন্মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

প্রতকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 10 Feb 2023,
  • अपडेटेड 10:12 PM IST
  • পরজন্ম নিয়ে অনেকেরই রয়েছে প্রশ্ন
  • পরজন্মে কী হবেন?
  • জেনে নেওয়া যায় আগেই

মৃত্যুকে আত্মার যাত্রার একটি পর্যায় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ মৃত্যু হল দেহের শেষ, আত্মার নয়। আত্মা আদি এবং এর যাত্রা এক দেহতে স্থায়ী থাকে না। এটিকে অনেকগুলি দেহের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং প্রতিটি দেহের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পিছনে কোনও না কোনও কারণ থাকে। বিষ্ণুপুরাণ, গীতা ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে এই কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আত্মার লক্ষ্য বিচরণ নয়, তাকে মোক্ষ লাভ করতে হবে। আত্মা যখন পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হয়, তখনই ঘটে মুক্তি। আত্মা কেবল পরমাত্মা লাভের জন্য বিভিন্ন দেহ গ্রহন করে। কিন্তু শুধুমাত্র একটি কামনার চক্রে আটকে গিয়ে আত্মাকে বারবার বিভিন্ন জন্মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

যদ ভরতের কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি একজন মহান সাধুমনের রাজা ছিলেন। তিনি প্রজাদের সেবা করতেন। একদিন তিনি স্নান করতে গিয়েছেন। সেই সময় একটি হরিণ সিংহের ভয়ে পালিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু সেটি নদী পার হতে পারেনি। হরিণটি গর্ভবতী ছিল এবং সে জলেই প্রসব করে। প্রসবের পর হরিণটি মারা যায়। রাজা হরিণের শাবকটিকে নিয়ে তাঁর প্রাসাদে যান।

রাজা যদ ভারত সেই হরিণটিকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করতে থাকেন। হরিণটিও রাজাকে খুব ভালবাসতে লাগল এবং রাজার সঙ্গে খেলা করত। তাতে রাজাও খুশি হতেন। এরপর একসময় রাজা বৃদ্ধ হন এবং মারা যান। কিন্তু মৃত্যুর সময়ও সেই হরিণের প্রতি তাঁর ভালবাসা শেষ হয়নি। তিনি সেটির কথাই ভাবতে থাকেন। ফলে তাঁকে মানব যোনি থেকে পশুর যোনিতে যেতে হয়েছিল এবং তিনি নিজেই সেই হরিণের গর্ভে এসে হরিণ হয়ে তার পরবর্তী জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই গল্পে বলা হয়েছে যে, মানুষ মৃত্যুর সময় যা অনুভব করেন, সেই অনুভূতি নিয়েই পরবর্তী জন্ম লাভ করেন। গীতায় এটাও বলা হয়েছে যে মৃত্যুর সময় যাঁর মন ভগবানের প্রতি স্থির থাকে তিনি মোক্ষ লাভ করেন। কিন্তু এটা খুবই কঠিন কারণ, একজন ব্যক্তি সারা জীবন যে আবেগ দ্বারা প্রভাবিত হন, সেই একই আবেগ মৃত্যুর সময় তাঁর মনের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। 

Advertisement

এমনটা নিশ্চয় দেখেছেন যে, কোনও বাড়িতে যদি কারও মৃত্যুর পরপরই কোনও সন্তান জন্মগ্রহণ করে, তখন বাড়ির লোক মনে করেন সেই মৃত মানুষই নতুন করে জন্ম নিয়েছেন। এর কারণ হল মানুষ দ্রুত তাঁর আকাঙ্ক্ষা ও পরিবারের প্রতি আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারে না। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, মানুষ যে কর্ম করেন,  সেই অনুযায়ী তাঁর পরবর্তী জন্ম লাভ করেন।

আরও পড়ুন - পয়লা বৈশাখের পরেই গজলক্ষ্মী রাজযোগ, দেবগুরু কৃপা বর্ষাবেন ৩ রাশিতে 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement