Advertisement

Religion: মৃত্যুর পর কেন একা রাখতে নেই মৃতদেহ? জেনে নিন সনাতন ধর্মের নিয়ম

Religion: গীতায় বলা হয়েছে যে পৃথিবীতে জন্ম নিলে আপনার মৃত্যু নিশ্চিত। এক না এক দিন তাঁকে পৃথিবী ছেড়ে যেতেই হবে। হিন্দুধর্ম মনে করে মৃত্যুতেই সব শেষ নয়। আত্মার চিরকালীন, তার লয় নেই, ক্ষয় নেই। মৃত্যুর পর শুধু এই দেহ শেষ হয় যায়। এক দেহ থেকে অন্য দেহে প্রবেশ করে। সেই কারণে হিন্দুধর্মে মৃত্যুর পর নানান নিয়ম-রীতি পালন করা হয়ে থাকে।

মৃতদেহ এা রাখার নিয়ম নেই সনাতন ধর্মে
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 23 Apr 2023,
  • अपडेटेड 6:22 PM IST
  • গীতায় বলা হয়েছে যে পৃথিবীতে জন্ম নিলে আপনার মৃত্যু নিশ্চিত।
  • এক না এক দিন তাঁকে পৃথিবী ছেড়ে যেতেই হবে। হিন্দুধর্ম মনে করে মৃত্যুতেই সব শেষ নয়।
  • হিন্দুধর্মে মৃত্যুর পর নানান নিয়ম-রীতি পালন করা হয়ে থাকে।

গীতায় বলা হয়েছে যে পৃথিবীতে জন্ম নিলে আপনার মৃত্যু নিশ্চিত। এক না এক দিন তাঁকে পৃথিবী ছেড়ে যেতেই হবে। হিন্দুধর্ম মনে করে মৃত্যুতেই সব শেষ নয়। আত্মার চিরকালীন, তার লয় নেই, ক্ষয় নেই। মৃত্যুর পর শুধু এই দেহ শেষ হয় যায়। এক দেহ থেকে অন্য দেহে প্রবেশ করে। সেই কারণে হিন্দুধর্মে মৃত্যুর পর নানান নিয়ম-রীতি পালন করা হয়ে থাকে। মৃতের পরিবারকেও মানতে হয় একাধিক নিয়ম। কিন্তু মৃত্যুর পর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অন্ত্যেষ্টি করা হয় না। আবার বাড়িতে মৃত্যু হওয়ার পর সেই মৃতদেহকে একা রেখে কোথাও যান না-কেউ। কিন্তু কেন এমন নিয়ম, এ বিষয়ে শাস্ত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়।

মৃতদেহ কেন একা রাখা হয় না কেন
শাস্ত্র মতে সূর্যাস্তের পর কখনও অন্ত্যেষ্টি করা যায় না। সূর্যাস্তের পর কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার মৃতদেহ বাড়িতেই থাকে। তখন মৃতদেহের পাশে কেউ না-কেউ উপস্থিত থাকে। গরুড় পুরাণ অনুযায়ী মৃতদেহ একা ফেলে রাখলে তা থেকে গন্ধ বেরোতে শুরু করবে। আবার মৃতদেহ একা পড়ে থাকলে পিঁপড়ে ঘির ধরতে পারে। পুরাণে এ-ও বলা হয়েছে যে মৃতদেহ একা ছাড়লে তাতে অশুভ আত্মা প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে অন্ত্যেষ্টি হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ একা ছাড়া হয় না।

আরও পড়ুন: তৈরি হয়েছে গজলক্ষ্মী যোগ, ৫ রাশির ভাগ্যে এবার উপচে পড়বে সুখ

মৃত্যুর পর পরই কেন অন্ত্যেষ্টি করা হয় না
কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সৎকার করা হয় না। এর পিছনেও একটি কারণ রয়েছে। শাস্ত্র মতে, যতক্ষণ মৃত ব্যক্তির শরীর সম্পূর্ণ রূপে শান্ত হচ্ছে না, ততক্ষণ দাহ সংস্কার করা যায় না। এ ছাড়াও শেষ দেখা দেখার জন্য সেই মৃত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজনের অপেক্ষা করা হয়। এই দুটি কারণে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দাহ সংস্কার করা নিষিদ্ধ।

Advertisement

অশুভ আত্মা প্রবেশ করতে পারে
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে মৃতদেহকে একা রেখে চারপাশে ঘুরে বেড়ানো অশুভ আত্মা মৃত ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করতে পারে। এই কারণে শুধু নিহতের লাশ নয় পরিবারের সদস্যরাও বিপদে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন: আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি? বাড়ির আশপাশে এই ৪ গাছ থাকলে এখনই সরান

ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
জীবিত মানুষের মধ্যে যে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি কাজ করে, তা মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায়। তাই মৃতদেহে নানা ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়া দ্রুত বংশবিস্তার করতে থাকে। তাই মৃতদেহের পাশে কারোর থাকা দরকার, যিনি ব্যাকটিরিয়া নাশের জন্য সমানে ধূপ জ্বালিয়ে রাখতে পারবেন।

পোকামাকড়ের উপদ্রব
মৃত্য়ুর পরে শরীরে নানা পোকামাকড়ের উপদ্রব হতে পারে। এতে মৃতদেহ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই মৃতদেহ একা না রেখে সেখানে অবশ্যই কারোর থাকা দরকার, যিনি এই সবের খেয়াল রাখতে পারবেন।

পঞ্চকে মৃত্যু হলে কী ভাবে অন্ত্যেষ্টি করবেন
পঞ্চক একটি অত্যন্ত অশুভ যোগ। এই সময়কালে কারও মৃত্যু হলে সেই ব্যক্তির পরিবারে দুঃখের ছায়া প্রসারিত। শাস্ত্র মতে পঞ্চকে কারও মৃত্যু হলে সেই পরিবার আরও পাঁচ জনের মৃত্যু দেখতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় দেখিয়েছে শাস্ত্র। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র অনুযায়ী পঞ্চকে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে ৫টি কুশের পুতুল বানিয়ে মৃতদেহের সঙ্গ রেখে দিন। যাতে দাহ সংস্কারের সময় কুশ পুতুলও পুড়ে যায়। এর পর তেরো দিনের মাথায় পঞ্চক শান্তি করানো উচিত। এই উপায় করলে পঞ্চক দোষ কেটে যায়।


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement