বিভিন্ন ভেষজ উপকরণের সাথে মধু ও ঘি দিয়ে বাড়িতে শুদ্ধাচারে তৈরি ধুপ দিয়েই হয় বর্ধমানের কাঞ্চননগরের দাস বাড়ির দুর্গাপুজো। আছে নানান রীতি রেওয়াজ। প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। পরিবারের বউ মেয়েরা জন্মাষ্ঠমির দিন স্নান সেরে শুদ্ধ হয়ে শুরু করেন এই ধূপ তৈরি কাজ। শ্বেত চন্দন, রক্ত চন্দন, অগরু চন্দন, অগুরু, পাদমকাষ্ঠ, লাক্ষা, হরিতকি, ধুনো সহ আঠারো রকমের প্রাকৃতিক ভেষজ উপকরণ রাত্রে গঙ্গা জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে তার সাথে ঘিয়ে ভাজা লকি মিশিয়ে সমস্ত উপকরণ শিলে বাটতে হয় মিহি করে। তার সাথে মেশানো হয় গব্য ঘৃত ও ২০ গ্রাম পরিমাণ মধু। তারপর সেই মিহি উপকরণ ছোট ছোট করে কাটা পাটের টুকরোর উপর লেপে তৈরি করা হয় ধুপ। একচালের প্রতিমা দাস বাড়ির স্থায়ী মন্দিরে বিরাজ করছে। সেখানেই তিন শতক ধরে বংশ পরম্পরায় এই পুজো হয়ে আসছে নিষ্ঠার সঙ্গে। পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। বলি প্রথা নেই। কিন্তু অসুর বধ করে দুষ্ঠের দমন করার উৎসব হিসাবে বলির তিথিতে হয় ১০৮ টি সিরির নাড়ু হরির লুট দেওয়া।