উৎসবের মরসুমে রান্নার তেলের খরচ নিয়ে পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। উৎসবের মরসুমে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এর দাম পর্যবেক্ষণ করে তেলের স্টক হোল্ডিং লিমিট অর্ডারে নেওয়ার পদক্ষেপের পর্যালোচনা করার পর অপরিশোধিত তেলের উপর থেকে সাধারণ শুল্ক তুলে নিল কেন্দ্র।
গৃহস্থালির নিত্য প্রয়োজনীয় তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ ও উপভোক্তাদের স্বস্তি দিতে কয়েকজন আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক ছাড়া, ভোজ্যতেল ও তেলের বীজের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ১ মার্চ পর্যন্ত স্টকের সীমা আরোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার।
রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সেই নির্দিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপলব্ধ স্টক এবং ব্যবহারের প্যাটার্ন বিবেচনা করে ভোজ্যতেল এবং তৈলবীজের উপর আরোপিত মজুত সীমা নির্ধারণ করতে হয়।
একটি সরকারী বিবৃতি অনুসারে, খাদ্য ও জনবন্টন বিভাগ ২৫ অক্টোবর, ২০২১ এ সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠক করে, যাতে খাবারের দামের স্টকের সীমার অর্ডারের ক্ষেত্রে নেওয়া পদক্ষেপগুলি পর্যালোচনা করা যায়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোজ্য তেলের দাম এবং দেশীয় সরবরাহের উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও জনবন্টন বিভাগ। উৎসবের মরসুমের যেখানে ভোজ্য তেলের চাহিদা বাড়বে, সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে অপরিশোধিত তেলের উপর থেকে সাধারণ শুল্ক তুলে নিল কেন্দ্র।
এর আগে ভোজ্য তেলের দাম কমাতে পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্র। গত ৩১ অক্টোবর পাম তেলের দাম প্রতি কেজিতে ৩৬ টাকা ৩২ পয়সা কমিয়ে ১৬৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৩২.৯৮ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এর সঙ্গেই সোয়া তেলের দামও কমানো হয়েছিল। তবে সরষের তেল, বাদাম তেল আর সূর্যমূখী তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
পাম তেল, সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেলের আমদানি শুল্ক কমানো সহ উচ্চ মূল্য কমাতে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি সমস্ত ভোজ্য তেলের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করেছে। তবে পাইকারি বাজারে লিটার প্রতি মাত্র ৪ টাকা থেকে ৭ টাকা দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোজ্য তেল সংস্থার সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে প্রতি লিটারে ৪ থেকে ৭ টাকা কমানো হবে রান্নার তেলের দাম। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজের গুদামজাতকরণের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কেন্দ্র।