এমনিতেই মুদ্রাস্ফিতির চাপে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। তার উপর বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভর দুনিয়ায় স্মার্টফোন, ল্যাপটপের উপর নির্ভরশীলতা স্কুল পড়ুয়া থেকে পেশাদার— সকলের। এই পরিস্থিতিতে শীঘ্রই অনেকটা দাম বাড়তে পারে স্মার্টফোন, ল্যাপটপের! জেনে নিন তার কারণ...
আমরা জানি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে তা এখনই বলা মুশকিল। তবে এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে তা অনেক কিছুকে প্রভাবিত করতে পারে।
এর প্রভাব শুধু রাশিয়া ও ইউক্রেনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলবে। প্রযুক্তি জগতের কথা বললে, ভারত সহ সারা বিশ্বে স্মার্টফোন, গাড়ি এবং ল্যাপটপ সহ অনেক ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে চিপসেটের ঘাটতি দেখা দেবে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেমিকন্ডাক্টর গ্রেড নিয়নের ৯০% ইউক্রেন থেকে আমেরিকায় সরবরাহ করা হয়।
অন্যদিকে, আমরা যদি রাশিয়া থেকে আমেরিকার কথা বলি তবে এখানে ৩৫ শতাংশ প্যালাডিয়াম সরবরাহ করা হয়। মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপের চিপসেট তৈরিতে সেমিকন্ডাক্টর গ্রেড নিয়ন এবং প্যালাডিয়াম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এমতাবস্থায় এ দুটির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সেন্সর, মেমোরিসহ অনেক কিছু তৈরির কাজও বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে আসা ধাতুর সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে চিপসেট তৈরিতে অসুবিধা হবে।
জাপানের একটি চিপ নির্মাতা সংস্থা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওই সংস্থা জানিয়েছে, এসব পণ্যের সরবরাহ আগে থেকেই কম ছিল এখন এগুলো বন্ধ করা হলে প্রযুক্তি জগতে ভয়াবহ সংকট দেখা দিতে পারে।
শুধু তাই নয়, চিপসেটের দাম বাড়লে ব্যবহারকারীদের ওপরও এর প্রভাব পড়বে এবং এর প্রভাব পড়বে ব্যবহারকারীদের পকেটে। সেমিকন্ডাক্টরের কাজ হলো কারেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা।
সেমিকন্ডাক্টর সিলিকন থেকে তৈরি হয়। এটি একটি মাইক্রো সার্কিটে ফিট করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এটি না থাকলে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস কাজ করতে পারে না।