এ সপ্তাহের শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজারের Sensex, Nifty সূচক। সোমবার থেকেই Sensex, Nifty-র উত্থান অব্যহত। শুক্রবার নতুন সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে Sensex, Nifty। এই প্রথমবার ৫৫ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল Sensex! নয়া রেকর্ড উচ্চতা ছুঁয়েছে নিফটিও।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের শক্তিশালী ইঙ্গিত মিলছে শেয়ার বাজারে! সপ্তাহের শেষ ট্রেডিং সেশনে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায়, সেনসেক্স প্রায় ২৫০ পয়েন্ট বেড়ে এই প্রথমবার ৫৫ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। নিফটিও সে সময় ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৬৪৪০-এর স্তরে লেনদেন করছিল।
এখন পর্যন্ত, ট্রেডিংয়ে সেনসেক্স ৫৫১৩৬ পয়েন্ট এবং নিফটি ১৬৪৪৯ পয়েন্টের সর্বোচ্চ স্তর ছুঁয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সেনসেক্সের ৩০টির মধ্যে ১৯টি স্টক ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
বাজাজ অটো, টিসিএস, এলটি, আইটিসির শেয়ার বর্তমানে শীর্ষ লাভকারী, ডঃ রেড্ডি, কোটক মাহিন্দ্রা ব্যাংক এবং বাজাজ ফাইন্যান্সের শেয়ার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুদ্রাস্ফীতি ও করোনা সংক্রমণের কারণে শেয়ার বাজারে ফের পতন হতে পারে। যে সব স্টক এখন পর্যন্ত ভাল রিটার্ন দিয়েছে সেগুলিও ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। অতএব, বিনিয়োগকারীদের বৈচিত্র্যের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
গত কয়েক ট্রেডিং সেশনে, মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপ স্টকগুলিতে প্রচুর বিক্রি হয়েছিল। মুনাফা বুকিংয়ের পরে, আবার বিনিয়োগকারীরা এর প্রতি আকৃষ্ট হন এবং এটি গতি দেখায়। এই সূচক আগামী দিনে নতুন রেকর্ড স্থাপন করতে পারে।
২৫ মার্চ, ২০২০-তে, নিফটি ৮ হাজারে লেনদেন করছিল। তারপর ১৬ মাসের মধ্যে নিফটি দ্বিগুণের উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। আজকের লাভের পিছনে অনেকগুলি প্রধান কারণ রয়েছে। জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি নেমে এসেছে ৫.৫৯ শতাংশে।
শেয়ার বাজারে ব্যবসায় গতি আসার কারণগুলি হল, জুলাই মাসে, রপ্তানি, জিএসটি পুনরুদ্ধার, উৎপাদন সহ অনেক অর্থনৈতিক সংকেত শক্তি দেখিয়েছে। কোম্পানিগুলো জুনের শেষে বড় মুনাফার কথা ঘোষণা করেছে। জুলাই মাসে বেকারত্বের হার ৭ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। দেশের ৬০ শতাংশের বেশি কোম্পানির উৎপাদন বেড়েছে। এ সবেরই প্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজার।