সোনায় বিনিয়োগ ঐতিহ্যগত বিনিয়োগ পদ্ধতির মধ্যে গণনা করা হয়। বিশেষ করে ভারতে, গয়না ছাড়াও সোনা প্রাচীনকাল থেকেই বিনিয়োগের উপায় হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এটি অনিশ্চিত বা বিপর্যয়ের সময়ে নিরাপদ বিনিয়োগের উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়। এর কারণ এটি সবসময় দীর্ঘ মেয়াদে ভাল রিটার্ন দেয়। আপনি যদি গত এক বছরের সোনার গতিবিধি দেখেন তবে এটি সত্য প্রমাণিত হয়। গত এক বছরে সোনার উজ্জ্বলতা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ।
এক বছর আগে দিল্লিতে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৪৭,৮৯০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম। এই মুহূর্তে এর দাম ৫৩,৭৫০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম পৌঁছেছে। এভাবে গত এক বছরে সোনার প্রতি ১০ গ্রামের দাম বেড়েছে ৫,৮৬০ টাকা বা ১২.২৩ শতাংশ। এটি যেকোনো ব্যাঙ্কের FD রেট থেকে অনেক বেশি রিটার্ন।
২০২০ সালের আগস্টে ভারতীয় বাজারে সোনা রেকর্ড করতে সফল হয়েছিল। তখন প্রতি দশ গ্রাম সোনার দাম উঠেছিল ৫৬,২০০ টাকা। যা বর্তমান মাত্রার চেয়ে ৪.৫৫ শতাংশ বেশি।
তবে গত কয়েকদিনে সোনার দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে মনে হচ্ছে ভারতের বাজারে আবারও নতুন রেকর্ড গড়তে পারে সোনা। এই মুহূর্তে অনেক কারণ রয়েছে, যা সোনার দাম বাড়াতে সাহায্য করছে।
বিশ্ববাজারের কথা বললে, স্পট গোল্ডের দাম আজ ১.৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ১৯৯৮.৩৭ ডলার হয়েছে। আগের দিনের লেনদেনে, এটি ২০০০ ডলারের স্তরও অতিক্রম করেছে।
এভাবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ১৮ মাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এর প্রধান কারণ রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ এবং অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে অব্যাহত অনিশ্চয়তা। বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনা কিনছেন।
ভারত বৃহত্তম সোনা আমদানিকারক দেশগুলির মধ্যে একটি। এ কারণে বিশ্বব্যাপী প্রবণতার সরাসরি প্রভাব দেশীয় বাজারে সোনার দামে দেখা যাচ্ছে। বিয়ের মৌসুম শুরু হলেই স্থানীয়ভাবে সোনার চাহিদা বেড়ে যায়। এই মুহূর্তে এই দুটি কারণই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আগামী সময়ে দেশীয় বাজারে সোনার দাম বাড়তে পারে।