আজকের দিনটি ভারতীয় শেয়ারবাজারে ব্ল্যাক ফ্রাইডে হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। বাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সেনসেক্স প্রায় ১৩০০ এবং নিফটি ৪০০ পয়েন্টের পতনের সাথে লেনদেন করছে।
ভারতীয় শেয়ারবাজারে গত দুই সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে আজকের পতন বিগত সাত মাসের মধ্যের সবচেয়ে বড়, যা দেশের বিনিয়োগকারীদের মাত্র ২ ঘণ্টাতেই বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।
বাজারের এই পতনের কারণে, মাত্র দুই ঘন্টার ট্রেডিং সেশনে বিনিয়োগকারীরা ৬.৫০ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছে। মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ারের বাজার মূলধন প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা কমে ২৫৯.৭১ লাখ কোটিতে নেমে এসেছে।
সেনসেক্স-নিফটি উভয়ই আড়াই শতাংশ করে পড়েছে। এর পেছনে মূল কারণ বিশ্ব বাজারের দুর্বল সূচনা। আজ খবর এসেছে যে, করোনাভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেইন দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া গিয়েছে এবং এটি বিশ্বের প্রায় সমস্ত শেয়ার বাজারে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বতসোয়ানা এবং হংকংয়ে আসা নাগরিকদেরও এই নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণের অনুরূপ লক্ষণ পাওয়া গেছে। এই কারণেই দেশীয় বাজারে ফার্মা খাত ছাড়া আর কোনও খাতই লাভের মুখ দেখতে পারেনি।
জাপানের নিক্কেই, হংকংয়ের হ্যাং সেং, সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমস এবং তাইওয়ানের বাজারের ট্রেডিং প্যাটার্ন যদি এশিয়ার বাজারে দেখা যায়, তবে তাদের সবগুলোই লাল চিহ্নে লেনদেন হতে দেখা যায়। দেশীয় বাজারেও তাদের প্রভাব দেখা গেছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা আজ ফার্মার সঙ্গে রাসায়নিক স্টকগুলিতেও বৃদ্ধির প্রবণতা আশা করছেন। আজ, ক্যাডিলা হেলথকেয়ার পতনের বাজারে ২.৩ শতাংশ লাভের সঙ্গে লেনদেন করতে দেখা গেছে এবং বিনিয়োগকারীরা এতে ভাল আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ফার্মা স্টক সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যাপোলো হাসপাতালের দর। ২০টি ফার্মা স্টকের মধ্যে মাত্র ৫টি স্টকে পতন দেখা গেছে। তবে আজ এই ফার্মা খাতে নজর রাখা যেতে পারে।