দেশের সাধারণ মানুষের জন্য বড় খবর! সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সোনার আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছে কেন্দ্র সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক। আমদানি শুল্ক ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আমদানি শুল্ক কমানোয় সোনার দাম কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে এক ধাক্কায় সোনার দাম কমে আসবে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ।
কেন্দ্র সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের সুপারিশ মেনে নিলে সোনা চোরাচালান কমাতে এর প্রত্যক্ষ প্রভাবও দেখা যাবে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ সোনার চোরাচালান রোধেও সহায়ক হবে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বুলিয়ন শিল্প ও সোনায় বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।
এর আগে বাজেটে সোনা ও রুপোর আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল সরকার। আমদানি শুল্ক ১২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এখন তা ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশে আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমদানি শুল্ক কমানোয় সোনা ও রুপোর দাম কমবে। এক ধাক্কায় সোনার দাম কমে যাবে ৩.৫ শতাংশ। একই সঙ্গে এতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনাও বাড়বে। ফলে সোনার ক্ষেত্রে দেশীয় সংগঠিত ব্যবসাকে উৎসাহিত করা সম্ভব হবে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উৎসব ও বিবাহের কারণে ডিসেম্বর প্রান্তিকে সোনার চাহিদা প্রবলভাবে বেড়েছে। সে কারণেই সোনার চাহিদা ১০ বছরের রেকর্ড ভাঙতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে বেশির ভাগ সোনা কেনা হয় বিদেশ থেকে, আপনি যদি বিগত কয়েক বছরের যেকোনো আর্থিক বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সোনা আমদানির ডেটা দেখেন, তাহলে ২০১৪-১৫ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২০০৯ সালে ৩৩৯.৩ টন সোনা আমদানি হয়েছিল। WGC-এর অনুমান, এবার ১০ বছরের সোনা আমদানির রেকর্ড ভাঙবে। অর্থাৎ, মোট আমদানির অঙ্কও বাড়বে।
ভারতে WGC-এর সিইও সোমাসুন্দরাম পিআর বলেছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার, ভারতে হলুদ ধাতুর চাহিদা মূলত বুলিয়ন এবং অপরিশুদ্ধ সোনার আমদানির উপর নির্ভরশীল। বর্তমান বাজারের ইঙ্গিত অনুসারে, এটি আশা করা হচ্ছে যে ২০২২ সালে সোনা আমদানি এই বছরের তুলনায় আরও শক্তিশালী হবে। এর প্রধান কারণ অর্থনীতিতে গহনার চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া।