শুক্রবার ২০০০ টাকার নোট ফেরত নেওয়ার ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। ব্যাঙ্ক বলেছে, যাঁদের কাছে ২০০০ টাকার নোট আছে তাঁরা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্য মূল্যের নোটের সঙ্গে তা বিনিময় করে নিতে পারবেন। আগামী ২৩ মে থেকে নোট বদলানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এরই মাঝে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর আর গান্ধী মনে করছেন, ২০০০ টাকার বেশি মূল্যের নোটের প্রয়োজনই নেই। তিনি বলেন, ডিজিটাল লেনদেন যেভাবে বাড়ছে তাতে মনে হয় না বেশি মূল্যের নোটের প্রয়োজন আছে।
স্বল্প মেয়াদের জন্য গৃহীত হয়েছিল
আর গান্ধীর মতে, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যাপক সাফল্য এবং কম মূল্যবৃদ্ধির অর্থ হল বেশি মূল্যের নোটের প্রয়োজন নেই। ২০১৬ সালে নোট বাতিলের পরে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার একটি নতুন নোট জারি করেছিল। আর গান্ধী ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডেপুটি গভর্নর হিসাবে কাজ করার সময় আরবিআই-এর মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিচালনা করেছেন। তিনি বলেন ২০০০ টাকার নোট চালু করা নোটবন্দির নীতির পরিপন্থী। এটি একটি স্বল্পমেয়াদী কৌশলগত সিদ্ধান্ত হিসাবে গৃহীত হয়েছিল।
কেন ২০০০ নোট জারি করা হয়েছিল?
আর গান্ধী বলেন ২০১৬ সালে নোট বাতিলের পরে ২০০০ টাকার নোট জারি করা হয়েছিল। কারণ ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে অনেক সময় লাগে। তাই স্বল্প মেয়াদের জন্য এটি গৃহীত হয়েছিল। এছাড়া ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আসার পর এই নোটগুলি তুলে নিচ্ছে আরবিআই। সেগুলি পুনরায় জারি করা হয়নি। এই কারণেই এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক নোট ইতিমধ্যেই তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই বাকি নোটগুলি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া অবাক হওয়ার কিছু নেই।
বড় নোটের প্রয়োজন নেই কেন?
আর গান্ধী মনে করেন, ডিজিটাল লেনদেন যেভাবে বাড়ছে, তাতে বেশি মূল্যের নোটের প্রয়োজন নেই। আগে নগদ লেনদেনের আধিপত্য ছিল, তখন একটি নিয়ম ছিল যে মূল্যবৃদ্ধির হারের উপর নির্ভর করে লেনদেনের সুবিধার্থে বেশি মূল্যের মুদ্রার নোট চালু করতে হত। সেই বাধ্যবাধকতা দুটি কারণে আর প্রযোজ্য নয়। এক, ডিজিটাল পেমেন্টের পরিধি বেড়েছে। দ্বিতীয়ত মূল্যবৃদ্ধি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই উচ্চমূল্যের নোটের প্রয়োজন নেই।
কতদিন ২০০০ টাকার নোট চালু থাকবে?
আরবিআই জানিয়েছে যে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট চালু থাকবে। অর্থাৎ যাঁদের কাছে বর্তমানে ২০০০ টাকার নোট আছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে বদলাতে হবে। এই জন্য ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক 'ক্লিন নোট পলিসি'-এর অধীনে ২০০০ টাকার নোট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নীতির অধীনে, RBI ধীরে ধীরে বাজার থেকে ২০০০ নোট প্রত্যাহার করবে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকার ২০০০ টাকার নোট প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু লেনদেন হচ্ছে খুবই কম।
আরও পড়ুন - থলথলে মেদ ঝরিয়ে স্লিম হতে চুমুক দিন গ্রিন কফিতে, কীভাবে বানাবেন?