
অনেকেই ভাল টাকা ইনকাম করেন। কিন্তু তারপরও সেভিংস বলতে কিছুই নেই। যা কামান, তার সবটাই খরচ করে ফেলেন। এমনকী মাসের শেষে কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অন্যদের থেকে ধারও নিতে হয়।
আর সাধারণ মানুষের একাংশের এই অভ্যাসেই চমকে ওঠেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সবারই সেভিংস করা উচিত। সেভিংস না থাকলে প্রয়োজনের সময় বিপদে পড়তে হবে। শুধু তাই নয়, অবসরের পরও কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
তাই তারা এমন কিছু সহজ টিপস দিলেন, যেগুলির মাধ্যমে অনায়াসে সেভিংস করা যাবে। সুরক্ষিত হবে ভবিষ্যৎ।
বাজেট তৈরি করুন
সবার প্রথমে বাজেট তৈরি করতে হবে। আজই বসে ঠিক করে নিন কোন খাতে কত টাকা খরচ করবেন। সেই অনুযায়ী হিসেব মেনে চলুন। এর এদিক-ওদিক হলে চলবে না। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই উপকার পাবেন। দেখবেন হাতে থাকবে টাকা।
অপ্রয়োজনে খরচ নয়
আপনাকে নিজের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হবে। আর সেটা আজ থেকেই শুরু করে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে যে কোনও ধরনের খরচ, যেটা না করলেও চলে যায়, সেটা থেকে বিরত থাকুন। আর কোনটা আপনার জন্য অপ্রয়োজনীয়, সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। তাহলেই দেখবেন পয়সা বাঁচবে।
লোন নেবেন না
অনেকেই লোন নিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণ করেন। তার ইএমআই দিতে দিতেই অনেকটা টাকা চলে যায়। তাই এখন থেকে অহেতুক লোন নেবেন না। ধার নিয়ে কিনবেন না ফোন, ল্যাপটপ। তাহলেই দেখবেন হাতে থাকবে টাকা। সেভিংসের টাকা জমবে।
খরচ লিখুন
বাজেটে চলতে চাইলে খরচ নিয়ে সাবধান হতে হবে। কোথায় কত টাকা খরচ করছেন, সেটা লিখে রাখা জরুরি। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে বাজেটে রয়েছেন কি না। সেই মতো পরবর্তী দিনগুলিতে ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাহলেও টাকা হাতে থাকবে।
প্রথমেই করুন সেভিংস
মাইনে পেলেই প্রথমে খরচ করবেন না। বরং আপনাকে সেভিংস করতে হবে। মাসের প্রথমেই এসআইপি, এলআইসি বা যেখানে বিনিয়োগ করতে চান, করে ফেলুন। তাহলে প্রথমেই আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে গেলেন। এরপর খরচ করতে পারেন।
পরিশেষ বলি, মাসে অন্তত মোট আয়ের ৩০ শতাংশ জমাতে হবে। সেটা যেভাবেই হোক করতে হবে। তাহলেই দেখবেন সব সমস্যার হয়ে যাবে সমাধান। আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়ে যাবে।