
8th pay Commission News For Central Government Employees And Pensioners: বর্তমানে ৫০ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং প্রায় ৬৯ লক্ষ পেনশনভোগীর মনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল অষ্টম বেতন কমিশন কখন কার্যকর হবে এবং এর ফলে কত বেতন বৃদ্ধি পাবে। সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, অষ্টম বেতন কমিশন সম্পর্কে আলোচনা তীব্রতর হয়েছে। কর্মচারীরা ক্রমাগত এর হিসেব বোঝার চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে বকেয়া বেতন এবং বেতন ও পেনশন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।
উল্লেখ্য, সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে শেষ হচ্ছে। তাই, ভবিষ্যতে বেতন এবং পেনশন যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ইতিমধ্যেই অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন গঠন করেছে। এখন, সকলেই নতুন বেতনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
অষ্টম বেতন কমিশনের আপডেট কী?
অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের সভাপতিত্ব করছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা দেশাই। কমিশনকে বেতন কাঠামো, ভাতা এবং অবসরকালীন পেনশন সম্পর্কিত সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকার কমিশনকে তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য প্রায় ১৮ মাস সময় দিয়েছে। ২০২৫ সালের অক্টোবরে টার্মস অফ রেফারেন্স জারি করা হয়েছিল এবং ২০২৭ সালের এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
অষ্টম বেতন কমিশন কখন কার্যকর করা হতে পারে?
রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর সরকার সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস সময় নেয়। অতএব, মনে করা হচ্ছে যে অষ্টম বেতন কমিশন ২০২৬ সালের জানুয়ারির পরিবর্তে ২০২৭ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৮ সালের প্রথম দিকে বাস্তবায়িত হতে পারে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি আরও স্পষ্ট করেছেন যে সরকার অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের বাস্তবায়নের তারিখ এবং ফান্ড সম্পর্কে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হলো সেই সংখ্যা যার মাধ্যমে বর্তমান বেসিক স্যালারি বৃদ্ধি করে নতুন বেতন নির্ধারণ করা হয়। বেতন এবং পেনশন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, অষ্টম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ১.৮৩ থেকে ২.৪৬ বা ২.৫৭ পর্যন্ত হতে পারে। তবে, অষ্টম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের অনুমোদনের পরেই নেওয়া হবে।
অষ্টম বেতন কমিশনে বেতন কত বাড়বে?
অ্যাম্বিট ক্যাপিটালের অনুমান, অষ্টম বেতন কমিশনের ফলে বেতন এবং পেনশনের সম্মিলিত বৃদ্ধি ৩০ থেকে ৩৪ শতাংশ হতে পারে। প্রথমে বেসিক বেতনের সঙ্গে ডিএ যোগ করা হবে, তারপরে নতুন কাঠামো বাস্তবায়ন করা হবে। কিছু রিপোর্টে ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, তবে এত বৃদ্ধি অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
যদি ২০২৮ সালে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে কত বকেয়া পাওনা পাওয়া যাবে?
যদি ২০২৮ সালের জানুয়ারীতে অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়িত হয় এবং ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে তা বিবেচনা করা হয়, তাহলে কর্মচারীরা পুরো ২৪ মাসের বকেয়া বেতন পাবেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন কর্মচারীর বেতন প্রতি মাসে প্রায় ১১,৯০০ বৃদ্ধি পায়, তাহলে দুই বছরের এরিয়ার প্রায় ২,৮৫,০০০ হতে পারে। এর অর্থ হল, সর্বনিম্ন বেতন পাওয়া একজন কর্মচারী একবারে প্রায় ৩,০০,০০০ টাকা পেতে পারেন। উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের জন্য এরিয়ার অনেক বেশি হবে।
কেবল বেতনের ক্ষেত্রেই নয়, এই বিষয়গুলিতেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
অষ্টম বেতন কমিশন কেবল বেসিক বেতনের উপরই নয়, বাড়ি ভাড়া ভাতা, পরিবহন ভাতা, পেনশন, ডিআর, গ্র্যাচুইটি এবং অবসর গ্রহণের মতো বিষয়গুলিতেও সুপারিশ করবে। এটি বেতনের সমতা এবং ইনসেনটিভ মতো বিষয়গুলিও বিবেচনা করবে। তবে অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত, বর্তমান নিয়ম অনুসারে ডিএ এবং ডিআর প্রদান অব্যাহত থাকবে।