
পরপর দুই দিন পড়ল নিফটি এবং সেনসেক্স। এ দিন সেনসেক্স তলিয়ে যায় ১৪৮.১৪ পয়েন্ট। দিনের শেষে এই সূচক রয়েছে ৮৩,৩১১.০১-এ। শুধু তাই নয়, নিফটি ৫০-ও অনেকটাই পড়ে গিয়েছে। এটি পড়েছে ৮৭.৯৫ পয়েন্ট। এখন এটি রয়েছে ২৫,৫০৯.৭০ পয়েন্ট।
এ দিন শেয়ারমার্কেট নেমে যাওয়ার পিছনে পাওয়ার গ্রিড, ইটারনাল এবং ভারত ইলেকট্রনিক্সের মতো শেয়ারে প্রফিট বুকিং রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ দিন খারাপ ফল করা শেয়ারগুলির মধ্যে প্রথমেই নাম আসবে পাওয়ার গ্রিডের। এটি ৩.১৫ শতাংশ কমেছে। এখন এর দাম রয়েছে ২৭০.২০ টাকা। এছাড়া ইটারনালের দাম কমেছে ২.৪২ শতাংশ। আবার ভারত ইলেকট্রনিক্স, বাজাজ ফিনান্স, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং এনটিপিসি কমেছে যথাক্রমে ১.৬৭ শতাংশ, ১.৪৫ শতাংশ, ১.২১ শতাংশ এবং ১.২১ শতাংশ।
যদি নাম ধরে বলতে হয়, তাহলে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইটারনাল, ভারতী এয়ারটেল, পাওয়ার গ্রিড এবং বাজাজ ফিনান্সের মতো স্টক অনেকটা পড়ে যাওয়ায় আদতে তলিয়ে গিয়েছে ভারতের মার্কেট বলে মনে করছেন অনেকে।
কতগুলি স্টক নেমেছে?
আজ শেয়ারবাজারে ৪৩৫৩টি স্টক অ্য়াক্টিভলি ট্রেড করেছে। বিএসই-তে ১২১৪টি স্টক আজ উপরে শেষ করেছে। অপরদিকে ২৯৯৩ স্টকের দাম কমেছে। পাশাপাশি ৪৬টি স্টকের দাম রয়েছে আনচেঞ্জড।
কেন পড়ছে শেয়ারবাজার?
জিওজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের ভিনোদ নায়ারের মতে, ভারতের অভ্যন্তরীণ মার্কেটে রয়েছে অস্থিরতা। মানুষ প্রফিট বুকিং-এ ব্যস্ত। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও দেশ ছাড়ছেন। আর তার ফলেই পড়ছে শেয়ারের দর।
এরপর কী হতে পারে?
এলকেপি সিকিউরিটির সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট রুপক দে বলেন, 'ইন্ডেসিস আগের বারের সুইং হাইয়ের কাছে গিয়ে সাপোর্ট নিচ্ছে। এখন রয়েছে ২৫৪৫০-এর কাছে। এরপর যদি ২৫৪৫০-এর নীচে নেমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে শর্ট টার্মে মার্কেট আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে যদি ২৫৪৫০ এর উপরে থাকতে পারে নিফটি, তাহলে ট্রেন্ড রিভার্সাল হওয়ার একটা আশা রয়েছে।
বিদ্র: তবে এই নিবন্ধটি পড়ে আবার স্টক কিনবেন না। এটি খবর দেওয়ার এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়া নিজেও করুন রিসার্চ। তারপরই স্টকে করুন ইনভেস্ট।