আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নস্যাৎ করা হল। যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সব ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হল আদানি গ্রুপের তরফে। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গৌতম আদানির গ্রুপ। অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আদানি গ্রুপ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে। তাই এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করা হয়েছে।
এই নিয়ে আদানি গ্রুপের মুখপাত্রের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে জানানো হয়, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত একজনকে দোষী বলা যায় না। সেটা মাথায় রাখা উচিত। একইসঙ্গে এই অভিযোগের আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
আদানির বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ
আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে গৌতম আদানি ও তাঁর কোম্পানির কয়েকজনের বিরুদ্ধে। আমেরিকায় আদানির সোলার এনার্জি প্রোডাক্ট ও আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড সংক্রান্ত প্রজেক্টের কন্ট্রাক্ট দেওয়ার জন্য ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে এই তথ্য আমেরিকার ব্যাঙ্ক ও বিনিয়োগকারীদের থেকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগও রয়েছে। আমেরিকান প্রসিকিউটররা দাবি করেছেন, কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই চুক্তি পেতে ভারতীয় কর্মকর্তাদের টাকা ঘুষ দিতে সম্মত হয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, আদানি গ্রিন এনার্জি মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। ২০২১ সালে একটি বন্ড অফার দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং আমেরিকান ব্যাঙ্ক থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। আমেরিকান অ্যাটর্নি ব্রায়ান পিস বলেছেন, বিলিয়ন ডলারের চুক্তি পেতে ভারতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্য একটি বড় পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল।
আদানি গ্রুপের তরফে শেয়ারহোল্ডারদেরও আশ্বস্ত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ সব সময় সমস্ত ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে। নিয়ম নীতি মেনেই চলে। আদানি গ্রুপের কর্মরত শেয়ারহোল্ডার, অংশীদার এবং কর্মচারীদের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি আইন মোতাবেকই চলে।