বিরোধীরা বলছে, এটা অন্ধ্র-বিহারের বাজেট। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর কথায়, বিশ্বে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে অনুঘটকের কাজ করবে এই বাজেট। নির্মলা সীতারমনের বাজেট ঘোষণার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রধানমন্ত্রী বলেন,'গ্রাম, গরিব ও কৃষকের উন্নতি ঘটাবে বাজেট। মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে বাজেট। যা মধ্যবিত্তদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করবে।
৪৫ বছরে সর্বোচ্চ বেকারত্ব ছুঁয়েছে মোদী সরকারের জমানায়। লোকসভা ভোটেও কর্মসংস্থানের অভাব নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিল বিরোধীরা। বাজেটে কর্মসংস্থানে গতি দিতে একাধিক ঘোষণা করেছেন সীতারমন। মোদীর মন্তব্য,'যুবকদের জন্য সীমাহীন সুযোগের ব্যবস্থা রয়েছে এই বাজেটে'। তাঁর কথায়,'মহিলা, ছোট ব্যবসা এবং ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পের উন্নয়নের জন্য সংস্থান রয়েছে বাজেটে'।
স্টার্ট আপ এবং উৎপাদন শিল্পের কথাও এই বাজেটে মাথায় রাখা হয়েছে বলে জানান মোদী। তাঁর কথায়,'এই বাজেট আর্থিক বৃদ্ধিকে গতি দেবে। কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি দায়বদ্ধ সরকার। প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি ঘরেই যাতে নতুন নতুন ব্যবসায়ী তৈরি হয় তা নিশ্চিত করেছে বাজেট। ভারতে বিশ্বের উৎপাদন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চাই'।
এই বাজেটকে 'কুর্সি বাঁচাও বাজেট' বলে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লিখেছেন,'শরিকদের খুশি করতে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করেছে সরকার। এএ-কে সুবিধা দিতে সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই নেই বাজেটে। কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার টুকে দিয়েছে সরকার'।
একই কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি এই বাজেটকে 'অন্ধ্র ও বিহারের বাজেট' বলে অভিহিত করেছেন।
ঘটনা হল, এই বাজেটে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার ঘোষণা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারের জন্য। দুই রাজ্যই পেয়েছে পরিকাঠামো খাতে বিরাট বরাদ্দ। অন্ধ্রপ্রদেশের পুনর্গঠনেই মঞ্জুর করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা।