বৃহস্পতিবার ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হতে পারে রাজ্য বাজেট। ২০২৩ সালে বাজেট থেকেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ বাড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও কি রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মীদের জন্য চমক অপেক্ষা করছে? লোকসভা নির্বাচনের আগে কি ফের মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়ে সরকারি কর্মীদের উপহার দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মনে।
সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি, এবারও মহার্ঘ ভাতা বাড়াতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, সামনেই লোকসভা ভোট। সেই ভোটের আগেই হয়তো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়বে। ৪ শতাংশ বাড়লে তাদের ডিএ বেড়ে হবে ৫০ শতাংশ। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীরা এখন ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পেয়ে থাকেন। যা নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে আছে রাজ্য সরকার।
এমনিতেই ডিএ নিয়ে আন্দোলন করছে রাজ্যের একাধিক সরকারি কর্মচারী সংগঠন। শহিদ মিনারেও অনশন আন্দোলন চলছে। তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। আন্দোলনকারীদের তরফে একাধিকবার আক্রমণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। লোকসভা ভোটে এই কর্মচারীরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সরকারি কর্মীদের আশা, তাই কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে ডিএ বাড়াতেই পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই নিয়ে নবান্ন বা রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, এখনই এই নিয়ে কিছু বলা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে। ঘোষণা করার পরই জানা যাবে।
যদিও রাজ্য সরকারি কর্মীদের আর এক অংশের দাবি, আর হয়তো ডিএ ঘোষণা করবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক মাস আগেই ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছেন। তার ফলে এখন ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বিধানসভা বাজেটে ডিএ বৃদ্ধি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিধানসভায় মূল যে নথি দেখে বাজেট ঘোষণা করছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তাতে ডিএ বৃদ্ধির উল্লেখ ছিল না। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে একটি চিরকূট দেন। সেই চিরকূট চন্দ্রিমার হাতে দেন অরূপ। তারপরই ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী