
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে লড়াই তীব্র হওয়ায় অপরিশোধিত তেলের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার লেনদেনের সময়, ব্রেন্ট ক্রুড (Brent crude) ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেলে ১১০ ডলার অতিক্রম করেছে, যা বিগত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ! একইভাবে, ডাব্লিউটিআইও (WTI) ৪.৮৮ শতাংশ বেড়ে ১০৮.৬৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে লড়াই এখন আন্তর্জাতিক তেলের বাজারেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই যুদ্ধের ফলে অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলি রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অদূর ভবিষ্যতে অপরিশোধিত তেলের সরবরাহে যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেলের রপ্তানি প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। পূর্ব ইউরোপে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় তেলের দাম চাপের মুখে পড়েছে। এদিকে, মহামারী থেকে পুনরুদ্ধার করা বিশ্ব অর্থনীতিতে চাহিদা বাড়ছে। এ কারণেই বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম।
বিশ্বের অনেক দেশে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে, তবে ভারতে দীপাবলির পর থেকে পেট্রোল-ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। পাঁচ রাজ্যে চলা বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষাপটে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লিতে বর্তমানে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ৯৫.৪১ টাকা এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৮৬.৬৭ টাকা। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি প্রতি লিটারে ১২ থেকে ১৫ টাকা বাড়তে পারে।
সূত্রের খবর, দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের খুচরা বিক্রির হার ব্যারেল প্রতি ৮২-৮৩ ডলার অপরিশোধিত তেলের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ কারণে তেল কোম্পানিগুলো প্রতিদিনই বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অপরিশোধিত তেলের দাম এক ডলার বাড়ানোয় পেট্রোল ও ডিজেলের খুচরা দাম বেড়েছে ৫০ পয়সা। সেই অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ২৭ ডলার বেড়েছে। অর্থাৎ, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রায় ১৫ টাকা বাড়তে পারে।