ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে বিরাট আপডেট। নতুন বছরেই বাড়ানো হবে ডিএ। তবে ডিএ-র হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। অর্থাৎ সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন, তবে নতুনভাবে। শুধু তাই নয়, এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদেরও ডিএ বৃদ্ধির পর ট্যাক্সও দিতে হবে। প্রতিবেদনে প্রকাশ, কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক ডিএ বৃদ্ধির হিসাবের নিয়মে বদল এনেছে।
এর আগে ২০১৬ সালে, শ্রম মন্ত্রক ডিএ বৃদ্ধির ভিত্তি বছরে পরিবর্তন এনেছিল। নতুন নিয়মে ডিএ বৃদ্ধির জন্য ‘বেস ইয়ার’ পরিবর্তন করা হবে। এমনটাই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ সালকে ‘বেস ইয়ার’ ধরে ‘ওয়েজ রেট ইনডেক্স’ নতুন সিরিজ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, এর আগের সিরিজের বেস ইয়ার ছিল 1963-65। সেটাই এবার নতুন বছরকে বেস ইয়ার ধরে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন বেস ইয়ারকে ২০১৬ ধরা হয়েছে এখন থেকে। সূত্রের খবর, সপ্তম বেতন কমিশন নাকি এমনটাই সুপারিশ করেছে। তবে সরকারের তরফে এই নিয়ে এখনও কোনও বয়ান বা বিবৃতি সামনে আসেনি।
আরও পড়ুন : জানুয়ারির শুরুতেই ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা? বড় আপডেট
এখন হিসাবটা কীভাবে হবে?
আসলে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে, মোট ডিএ গণনা করা হয় মূল বেতনের সাথে মহার্ঘ্য ভাতার বর্তমান হারকে গুণ করে। বর্তমান ১২% হারের ভিত্তিতে, যদি আপনার মূল বেতন ২০ হাজার হয়, তাহলে DA হবে ২০,০০০ X১২/১০০। এই রেজাল্ট ১১৫.৭৬ দিয়ে ভাগ করে তারপর ১০০ দিয়ে গুণ করা হবে। এক্ষেত্রে ডিএ শতাংশ হল গত ১২ মাসের CPI বা ‘কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স’-এর উপরে নির্ভর করে নির্ধারণ করা এক সংখ্যা।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরে মার্চে ডিএ ঘোষণা হতে পারে। তবে প্রতিবেদনে প্রকাশ, বর্ধিত ডিএ-র উপরে কর (DA Tax) বসবে। কারণ, সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে বর্ধিত ডিএ পুরোটাই করযোগ্য করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে ৪ শতাংশ ডিএ ও ডিআর বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৪ শতাংশ ডিএ ও ডিআর বাড়ানোর পর তা বেড়ে হয়েছিল ৩৮ শতাংশ। ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে এই ডিএ বৃদ্ধির হার প্রযোজ্য। এর আগে মার্চ মাসেই ডিএ ও ডিআর বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এরপর আবার আগামী মার্চেই ফের একবার ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।