ফের রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর। ভোটের মুখে ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল রাজ্য সরকার। এতদিন ১০ শতাংশ ডিএ পেতেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এবার থেকে তাঁরা ১৪ শতাংশ হারে পাবেন। আবার বৃদ্ধি পেল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ। মে মাস থেকে আরও ৪ শতাংশ ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা।
এদিন এই ঘোষণা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানান, আরও ৪ শতাংশ ডিএ বেড়ে গেল। এর আগে জানুয়ারি মাস থেকে ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আগামী মে মাস থেকে তাঁরা পাবেন ১৪ শতাংশ করে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বিধানসভা বাজেটে ডিএ বৃদ্ধি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিধানসভায় মূল যে নথি দেখে বাজেট ঘোষণা করছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তাতে ডিএ বৃদ্ধির উল্লেখ ছিল না। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে একটি চিরকূট দেন। সেই চিরকূট চন্দ্রিমার হাতে দেন অরূপ। তারপরই ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।
তারপর গত ডিসেম্বর মাসেও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছিলেন সরকারি কর্মীরা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পেয়ে থাকেন। রাজ্য সরকারি কর্মীরা এবার থেকে ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। অর্থাৎ এখন কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ডিএ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকার নয়, এটা রাজ্যের ঐচ্ছিক বিষয়। বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বললেন, 'ডিএ নিশ্চিতভাবে অধিকার।' ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। আবার বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। সেই সময় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। শোভনদেবের এই মন্তব্য নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি।
উল্পেখ্য পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। সেই মামলার শুনানিও ছিল আজ। সোমবার শীর্ষ আদালতের চারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত ছিল। তবে ৪০ নম্বর মামলার পর সময় অভাবে আর কোনও মামলা ওঠেনি। প্রসঙ্গত, এর আগে মামলাটি ১১ বার শুনানির জন্য উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবেই ১২ তম শুনানির দিকে নজর ছিল রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মীদের। কিন্তু এদিন মামলা ওঠেনি। এই বিষয়ে সরকারি কর্মীদের পক্ষে আইনজীবী উদ্যম মুখোপাধ্যায় জানান, ৪০ নম্বর মামলা যখন ওঠে তখন বিকেল চারটে। তারপর আর কোনও মামলা নেননি বিচারপতিরা। সুতরাং মামলা যে জায়গায় ছিল, সেই জায়গাতেই থাকল।