সরকারি কর্মীদের জন্য বাম্পার খবর। সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) বেড়ে গেল। এক ধাক্কায় ১৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ল সরকারি কর্মীদের। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেখানে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে বেতন ৩৯৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৪১২ শতাংশ করা হয়েছে।
তবে এই ডিএ সব সরকারি কর্মীরা পাবেন না। কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী এবং কেন্দ্রীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীদের জন্য এই মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। এই কর্মচারীরা পঞ্চম বেতন (5th Pay Commission) কমিশনের আওতায় বেতন পেতেন। তাঁরা এবার থেকে আরও ১৬ শতাংশ বেশি ডিএ পাবেন।
সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ' যে কেন্দ্রীয় সরকারী এবং কেন্দ্রীয় স্বয়াত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীরা এখনও পূর্ব-সংশোধিত অর্থাৎ পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন তুলছেন তাঁদের ক্ষেত্রে মহার্ঘ ভাতা ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে বেতনের ৩৯৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১২ শতাংশ পর্যন্ত করা হচ্ছে।'
অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন- এই ৬ মাসের বেতনের সঙ্গে এরিয়ারও পাবেন সরকারি কর্মীরা (Dearness Allowance Arrear)। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলির কর্মীদের জন্য ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে ডিএ-র হার ২১২% থেকে ২২১% বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে (7th pay commission) কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় সরকার মূল বেতনের ৪২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে। এর আগে ৩৮ শতাংশ ছি্ল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই ডিএ কার্যকর হয়। ফের অক্টোবর বা সেপ্টেম্বরে পরবর্তী মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
এবারও মহার্ঘ্য ভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। ফলে মূল বেতনের ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। অক্টোবরে মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এতে করে কর্মচারীরাও তিন থেকে চার মাসের বকেয়া পাবেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ বাড়ালেও পশ্চিমবঙ্গে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চলছে (West Bengal Dearness Allownce)। সরকারি কর্মীরা নবান্নের সঙ্গে বৈঠক করলেও কোনও সুফল মেলেনি। ফলে শহিদ মিনার চত্বরে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে অবস্থান করে চলেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। আবার বকেয়া ডিএ-র মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও। সেই মামলার শুনানির দিকেও তাকিয়ে রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী।