ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা আবশ্যিক নয় , এটা অপশন। দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডিএ হল অপশন। পাশাপাশি ফের ডিএ আন্দোলনের সমালোচনা করেন তিনি। আন্দোলনের ফলে কি সার্ভিস রুল ব্রেক হচ্ছে না ? প্রশ্ন করেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ডিএ আন্দোলনের জন্য ৩৬ হাজার চাকরি গেল। এবারও ৩ শতাংশ ডিএ পেয়েছে। তাও তারা প্রতিদিন মিছিল করছে। মিছিল করতে বারণ করা হচ্ছে না। আমরা যখন মিছিল করি তখন রাস্তা ছেড়ে রাখি। আমাদের মিছিল ৩০ মিনিটে শেষ হয়। আর এদের ১০০ লোক হলেও ৫ হাত পরপর হাঁটবে। এরা মিছিলের নামে সব গার্ড করে দেয়।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রতিদিন এভাবে কাজ না করে কি আমাকে হুঙ্কার দেওয়া হচ্ছে? আমি সহানুভূতিশীল। সরকারি কর্মীরা সদস্য আমাদের। সিপিএম বিজেপির গ্যাস বেলুন পেয়ে ভাবছে ব্যাঙের মা হয়ে গেছে। অহংকার খুব ওদের। আজও লজ্জা নেই। আমি তো কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করিনি। এটা আমার দুর্বলতা নয়। আমাকে দুর্বল মনে করলে ভুল হবে। ১২৬ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। অধিকার নয়, অপশন। তাও দিয়েছি। রাজ্য সরকারের সার্ভিস রুল আলাদা। যান না সেন্ট্রাল গর্ভমেন্টের চাকরি খুঁজে নিন। আমাদের নিয়ম কানুন আছে। সেই মতো মানতে হবে। আমার টাকা থাকলে ভালোবেসে পুরস্কার দিলাম। আমি তো প্রতিবার ৩ শতাংশ দিই। ৩৫ শতাংশ বামেরা দিয়েছিল। আর আমরা ১২৬ শতাংশ দিয়েছি।'
এর আগে ডিএ-র দাবিতে একাধিক মিছিল হয়েছে রাজ্যজুড়ে। সরকারি কর্মীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলনও করেছেন। হয়েছে অনশনও। এমনকী নবান্নে বৈঠকও করেছেন সরকারি কর্মীরা। তবে সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।
এর আগে হাইকোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করেনি সরকার। হাইকোর্ট রাজ্যের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনও খারিজ করে দেয়। তারপরই SLP দায়ের করে রাজ্য সরকার। আর সেই মামলা এখন চলছে। এই মামলা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিলেই বকেয়া ডিএ পাওয়া পথ প্রশস্ত হবে সরকারি কর্মীদের।