Advertisement

DA West Bengal : 'ভালোভাবে থাকতে ডিএ বাড়াতেই হবে, মহার্ঘ ভাতা নিশ্চিতভাবে অধিকার', বললেন রাজ্যের মন্ত্রী

ডিএ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকার নয়, এটা রাজ্যের ঐচ্ছিক বিষয়। বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে উল্টোকথা বললেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব।

নবান্ন নবান্ন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 Feb 2024,
  • अपडेटेड 7:53 PM IST
  • ডিএ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকার নয়, এটা রাজ্যের ঐচ্ছিক বিষয়
  • বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়

ডিএ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকার নয়, এটা রাজ্যের ঐচ্ছিক বিষয়। বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বললেন, 'ডিএ নিশ্চিতভাবে অধিকার।' ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। আবার বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। সেই সময় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

রবিবার খড়দায় রাজ্য পুর কর্মচারী ফেডারেশনের একটি সভায় যান রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা ট্রেড ইউনিউন নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি মন্ত্রী। তাঁর কথা বলার ক্ষেত্রে বাধ্যকতা রয়েছে। তবে তিনি অনেক বিষয় অস্বীকার করতে পারেন না। শোভনদেবের কথায়, 'জিনিসের দাম বেড়েছে। ওষুধের দাম বেড়েছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচও বেড়েছে। আরও ভালোভাবে বাঁচার জন্য ডিএ তো বাড়াতেই হবে। আমি একজন মন্ত্রী। আমার বলার ক্ষেত্রে অনেক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমি বলব, এতে আমার আপত্তি নেই। ডিএ-র দাবিকে আমি অস্বীকার করি না। আমি দীর্ঘকাল ধরে ট্রেড ইউনিয়ন করি। আমি কী করে বলব ডিএ আমার অধিকার নয়? নিশ্চিত ভাবে এটা অধিকার।'

প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এখন ১০ শতাংশ হারে ডিএ পান। এর আগে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। আরও ৪ শতাংশ হারে ডিএ কিছুদিন আগে থেকেই কার্যকর হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যে হারে মহার্ঘ ভাতা পান, সেই হারে ডিএ চান রাজ্য সরকারি কর্মীদের অনেকেই। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনও করছে সরকারি কর্মীদের একাংশ। 

পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া  ডিএ নিয়ে  সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। সেই মামলার শুনানিও ছিল আজ। সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত ছিল। তবে ৪০ নম্বর মামলার পর সময় অভাবে আর কোনও মামলা ওঠেনি। 

প্রসঙ্গত, এর আগে মামলাটি ১১ বার শুনানির জন্য উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবেই ১২ তম শুনানির দিকে নজর ছিল রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মীদের। কিন্তু এদিন মামলা ওঠেনি। এই বিষয়ে সরকারি কর্মীদের পক্ষে আইনজীবী উদ্যম মুখোপাধ্যায় জানান, ৪০ নম্বর মামলা যখন ওঠে তখন বিকেল চারটে। তারপর আর কোনও মামলা নেননি বিচারপতিরা। সুতরাং মামলা যে জায়গায় ছিল, সেই জায়গাতেই থাকল।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement